আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
402 views
in ওয়াসওয়াসা by (11 points)
edited by
হুজুর এইটা আমার প্রশ্ন ছিলো।https://ifatwa.info/64777/  হুজুর উক্ত ৩নং প্রশ্নের জবাবে আপনি বলেছিলেন যে কেবলমাত্র পূর্ণাঙ্গ উলঙ্গ অবস্থায় দেখলেই তালাক পতিত হবে নতুবা হবেনা।  হুজুর হুট করে একটা ওয়াসওয়াসা আসলো যে তুমি তো মাঝে মাঝে এমন ছবি দেখছো যে মেয়েটার বা ছেলেটার পিঠ দেখা যাচ্ছে এরদ্বারাও যদি তালাক হয়ে যায়.... হুজুর আমি একটু বিস্তারিত খুলে বলি,,যদিও আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে কিছুই হয়নাই এবং এই অবস্থার উপর আমার শর্ত+নিয়্যাত ও ছিলোনা তবুও ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা।যদিও প্রশ্ন গুলি অবান্তর,কিন্তু তবুও প্রশ্ন করলাম যাতে মনের ভিতর কোনো দ্বিধা না থাকে।

 ১/হুজুর ধরুন একজন দুজন বা একজন নর নারি এমন  অবস্থায় ফটোশুট করছে যে তারা হয়তো উলঙ্গ বা উলঙ্গ না কিন্তু যারা দেখবে তারা তাদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় বা পরিপূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় তাদেরকে দেখতে পাচ্ছেনা বা তাদের কিছুই দেখা যাচ্ছেনা অর্থাৎ তাদের যে সকল লজ্জাস্থান সমুহ থেকে থাকে সেগুলা কোনোটাই দেখা যাচ্ছেনা শুধুমাত্র পিঠ বা কাধ  দেখা যাচ্ছে আর বাকি সব অঙ্গ পতঙ্গ কোনো না কোনোভাবে ঢাকা বা আড়ালে আছে,,(যেগুলা ছবি সামনে পড়া বা দেখা স্বাভাবিক এবং এগুলা ছবিকে ফুল উলঙ্গ ছবিও বলেনা এবং এমন ছবি আমার শর্তের মধ্যে ছিলোনা ১০০% শিউর আমি) এমতবস্থায় কোনো ছবি আমার চোখে পরলে কি আমার শর্ত ভঙ্গ হবে? হুজুর আমার নিয়্যাত ছিলো পূর্নাঙ্গ উলঙ্গ অবস্থায় নর নারি না দেখা অর্থাৎ যাদের লজ্জাস্থান সমূহ  দেখা যায়।কিন্তু আমার চোখের সামনে যেইটা আসছে সেইটার নিয়্যাত কখোনোই ছিলোনা।আমি এই ব্যাপারে ১০০% সুনিশ্চিত আলহামদুলিল্লাহ।  আমি কখোনোই এমন ছবির ক্ষেত্রে শর্ত দেইনাই বা আমার নিয়্যাত ছিলোনা শুধু ভয় হয় শাব্দিক শব্দের জন্যে।(সারাদিন মাথার ভিতর বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘুরা ফিরা করর,আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা)

(বিস্তারিত ভাবে উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হইতাম প্রতিটি প্রশ্নের)

 ২/মনে ওয়াসওয়াসা আসে যে তুমি তো বলছো উলঙ্গ নর-নারীর কিছু দেখবানা কিন্তু এখানে তো নারি উলঙ্গ অবস্থায় আছে যদিও তুমি তাদের কিছুই দেখতে পাওনি তবুও তো সে উলঙ্গ! কিন্তু হুজুর উলঙ্গ অবস্থায় তারা ছবিতে ছিলো মানলাম কিন্তু আমি তো আর তাদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখিনাই অর্থাৎ এমন অবস্থায় দেখিনাই যেই অবস্থার উপর আমার শর্ত ছিলো যে তাদের লজ্জাস্থান সমুহ আমার সামনে আসছে বা আমি দেখছি। আমার শর্ত ছিলো পুরাপুরি উলঙ্গ অবস্থায় দেখা বা লজ্জাস্থান সমুহ খোলা অবস্থায় তাদেরকে দেখা, যেখানে তাদের লজ্জাস্থান সমুহ দেখা যাচ্ছে এমন। হুজুর আমার সামনে যখন এমন ছবি আসছে তখনো আমার মধ্যে কোনো পেরেশানি ছিলোনা কারন আমি জানতাম এই টাইপের ছবি আমার শর্তের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এগুলা কে পরিপূর্ণ উলঙ্গ ছবি বলেও পরিচিত নয়। কিন্তু ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত হবার পর হতে হুট করে এই ওয়াসওয়াসা আসলো,পেরেশান  করে দিচ্ছে আমাকে ভাবাইতে ভাবাইতে,,(সেজন্য দ্রুত প্রশ্ন করলাম। হুজুর এর দ্বারা কি তালাক হবে?আলহামদুলিল্লাহ আমি পরিপূর্ণ এক্বিনের সাথে বলতে পারবো এমন ছবি আমার শর্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলোনা বা নিয়্যাত ছিলোনা।আর এগুলা নিয়ে কখোনো পেরেশানিও আসেনাই,,কিন্তু ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত হিবার পর থেকে একের পর এক সন্দেহ আশা শুরু হইছে...যেগুলি বিষয়ে সুনিশ্চিত ছিলাম সেগুলির মাঝেও সন্দেহের দানা বেধে দিচ্ছে

 ৩/হুজুর কারো যদি তালাকের শর্তের ব্যাপারে সন্দেহ চলে আসে যে,সে কি বিষয়ের উপর শর্ত দিয়েছিলো তখন কি করণিয়? ধরুন একটা কাজ করে ফেলেছে এবং সে জানতো এইটা তার শর্তের অন্তর্ভুক্ত নয় কিন্তু সে বিষয়ের উপর তার সন্দেহ আসলো যে শর্ত দিয়েছিলো কি দিয়েছিলোনা বা কি শর্ত দিয়েছিলো সেইটা তার খেয়াল নাই।এক্ষেত্রে কি সন্দেহর মাধ্যমে তালাক পতিত হবে?? আর শর্ত কি অব্যাহত থাকবে নাকি নষ্ট হয়ে যাবে সন্দেহের কারনে?

 ৪/হুজুর আমার এখন কেমন উলঙ্গ নিয়্যাত ছিলো সেটা নিয়ে এখন আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ হয়ে পড়ছি,,,যে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিলোনা+যখন দেখা হইছে তখোনো কোনো ভাবান্তর ছিলোনা কারন আমি তখন সুনিশ্চিত ছিলাম যে এই ছবি আমার শর্তের আওতায় পরেনা।কিন্তু এতো দীর্ঘ দিন পর অন্যান্য ওয়াসওয়াসা শুরু হবার পর হতে একটা ওয়াসওয়াসা ঠিক হয় তো আরেকটা ওয়াসওয়াসা আসা শুরু হইছে।এখন আমাকে এই ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে যেইটার ব্যাপারে আমি সু নিশ্চিত ছিলাম এতোদিন।এখন আমি কেমন উলঙ্গ নিয়্যাত করেছিলাম সেইটার মধ্যে আমাকে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে,,এখন আমি কি করবো?? এই সন্দেহের দ্বারা কি কোনো ক্ষতি হবে আমার সংসারে?

৫/হুজুর ওয়াসওয়াসা এসে খুব পেরেশানি তে ফেলে দেয়,ভয় হয় যে এমন অবস্থা চলতে থাকলে আল্লাহ না করুন দ্বিনের উপর আস্থা হাড়ায় যাবে মনে হয়। হুজুর আমি যদি ওয়াসওয়াসা কে পাত্তা না দিয়ে বলি যে " তালাক যদি হয় হবে,আমি এই বিবির সাথেই সংসার করবো।কাল কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ কে সব বলবো আমি,,আল্লাহ শাস্তি দিলে দিবে না দিলে না দিবে" এখন তালাক হলে হোক আর না হোক আমার যায় আসেনা কোনো.. এভাবে যদি আমি আমার মন কে বুঝায় এবং তার বিরুদ্ধে লড়াই করি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?

৬/হুজুর আমি আপনার থেকে পূর্বে প্রশ্নের জবাব থেকে অনেক কিছুই জেনেছি এবং বুঝেছি।সেই জবাবের আলোকে আলহামদুলিল্লাহ আমি নিজেও ১০০% জানি যে আমার কোনো তালাক হয়নাই এবং এগুলা শুধুমাত্র ওয়াসওয়াসা ছাড়া আর কিছুই নয়।তবুও হুজুর মনে শান্তি পাইনা যতোক্ষন না কোনো হুজুরের নিকট প্রশ্ন না করি এবং তার থেকে জবাব না পাই।অর্থাৎ নিজের উপর কোনো আস্থাই নাই আমার.. হুজুর এগুলা কি ওয়াসওয়াসা?? এগুলা কি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হবার লক্ষন?
by (11 points)
হুজুর একটু দ্রুত রিপ্লাই যদি দিতেন

1 Answer

0 votes
by (566,340 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
(০১)
এমতবস্থায় কোনো ছবি আপনার চোখে পরলে আপনার শর্ত ভঙ্গ হবেনা।

(০২)
এর দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে সন্দেহের মাধ্যমে তালাক পতিত হবেনা।
আর শর্ত অব্যাহত থাকবে।

(০৪)
আপনি এই সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা। 
এই সন্দেহের দ্বারা আপনার সংসারে কোনো ক্ষতি হবেনা।

(০৫)
আপনার জন্য এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, এগুলো ওয়াসওয়াসা। এগুলো ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...