আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম। এর আগে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু আগের প্রস্তুতি সম্পন্ন সাজিয়ে বলতে পারেনা  তাই আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন। আশা করছি সঠিক সমাধান পাব।
গত সাত বছর যাবত একজনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমি বর্তমানে চার বছর যাবৎ চাকরি করছি। অনেক আগে থেকেই তার সাথে বিয়ে করার চেষ্টা করছি কিন্তু তার ফ্যামিলি রাজি না। আবার আমরা দুজন দুজনকে ছাড়তে পারছিনা। আমার পরিবার রাজি,আমি রাজি, সে রাজি। তার পরিবার রাজি না হওয়ার কারণ তাঁর পরিবার আমার পরিবারের থেকে ধন সম্পদ টাকাপয়সা এবং সব দিক দিয়ে উন্নত। তার বাড়িতে প্রস্তাব জানালে তার বাড়ির লোক বলে কোনদিনই এটা সম্ভব নয়। এর আগে তাদের বাড়ির অন্য একটি সন্তানকে অনেক ধনী পরিবারের সাথে বিবাহ দিয়েছে। তাই তারা ভাবছে আমার মত ফ্যামিলি সাথে বিবাহ দিলে তাদের মান সম্মান থাকবে না।
১। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি পালিয়ে যেয়ে বিবাহ করব এটা যুক্তিসঙ্গত হবে কিনা???
২। আগের সাত বছরের গুনাহ করেছি তা থেকে বা মুক্তি পাওয়ার উপায় কি???
৩। আমাদের ক্ষেত্রে পালিয়ে বিয়ে করলে কোন অভিভাবক লাগবে কিনা????
৪। কোট মেরেজ করলে দেনমোহর সম্পর্কে  জানাবেন যদি বিবাহ করার অনুমতি থাকে।।।।
৫। আমি একজন চাকরিজীবী হওয়ার সত্বেও তারা আমার সাথে বিবাহ না দেওয়ার কারণ আমরা গরীব। ধনী-গরীব সম্পর্কে আমাদের বিবাহের বাধা হওয়ার কারণ হিসেবে  ইসলামের কোন বাধা আছে কিনা???
সম্পন্ন প্রশ্নে কোন ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা শূন্য  দৃষ্টিতে দেখবেন বর্তমানে এই সমস্যার একটা সমাধান করা দরকার তাই সঠিক উত্তরের অপেক্ষায়  থাকলাম।
আসসালামুয়ালাইকুম।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হোন,
তাহলে সেক্ষেত্রে আপনারা উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও আপনাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পরামর্শ থাকবে অভিভাবকদেরকে  রাজি করিয়ে উক্ত বিবাহ করা।
অভিভাবক  রাজি না হলে অন্যত্রে বিবাহ করা ভালো হবে।
এক্ষেত্রে সেই মেয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে হবে,তাকে ভুলে যেতে হবে।

তবে মা রাজি না থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি সেই মেয়েকে বিবাহ করেন,তবুও শরীয়াহ মোতাবেক আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তবে সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়ে এই অবৈধ প্রেম চালিয়ে যাওয়া যাবেনা,  এ কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে ফিরে আসতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এভাবে বিবাহ করলে বিবাহ হয়ে গেলেও কাজটি যুক্তিসঙ্গত হবেনা।
আমরা এর অনুমতি দিতে পারিনা।

(০২)
এক্ষেত্রে সেই মেয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে হবে,তাকে ভুলে যেতে হবে।
তওবা করতে হবে।

(০৩)
উভয়ে বালেগ বালেগাহ হয়ে থাকলে অভিভাবক আবশ্যক নয়।

(০৪)
পাত্র পাত্রী পরস্পর সম্মতিক্রমে যেই দেনমোহর নির্ধারন করবে,সেটিই চূড়ান্ত হবে।

এক্ষেত্রে দেনমোহর এর কিছু অংশ যদি বাকী  রাখা হয়,সেক্ষেত্রে বিষয়টি পাত্রীকে আগেই জানাতে হবে। 

(০৫)
ধনী-গরীব সম্পর্কে আপনাদের বিবাহের বাধা হওয়ার কারণ হিসেবে ইসলামের কোন বাধা নেই।
তবে ইসলামে ফুফুর বিষয় লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়েছে।
এতে বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকে,ও মধুরময় হয়।

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...