আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (32 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ। তাবলীগের সাধারণ লোকেরা দেখা যায় তাবলীগে বের হওয়াকে সবসময় "আল্লাহর রাস্তা"য় বলে থাকেন।
১. এই আল্লাহর রাস্তা বলাটা কতোটুকু সঠিক? এটা আমরা কখন কখন ব্যবহার করতে পারবো?

২. আল্লাহর রাস্তা সম্বলিত অনেক হাদিস আছে যেগুলো তাবলীগে ব্যবহার হয়। যেমনঃ

ক. আল্লাহর রাস্তায় বের হলে ৪৯ কোটি গুণ বেশি সাওয়াব হয়। এটা কতোটুকু সঠিক?

খ. আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে প্রতি কদমে সাতশো নেকি হয় ও সাতশো গুনাহ মাফ হয় এটা কতোটুকু সঠিক?

গ. আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা হাজরে আসওয়াত পাথরকে সামনে রেখে হাজার বছর ইবাদাতের চেয়ে উত্তম।

ঘ. আল্লাহর রাস্তায় এক মূহুর্ত পাহারা দেয়া দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সবকিছুর চেয়ে উত্তম।

ঙ. আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে সবসময় আমীরের এতাত করতেই হবে।

চ. আল্লাহর রাস্তায় এক কদম ফেলার পর পরের কদম ফেলার আগেই সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

৩. তাবলীগে বের হয়ে কেউ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করলে তাকে "শহীদ" বলা যাবে কিনা?

৪. সাহাবা রাঃ গণ সবসময় আল্লাহর রাস্তায় বের হতেন। আমি সীরাহসহ অন্যান্য কিতাবে যা দেখেছি এটা সবসময়ই জিহাদই ছিলো। উনারা আল্লাহর রাস্তায় বেরুতেন, তাই আমাদেরো আল্লাহর রাস্তায় (তাবলীগ) সবসময় বের হতে হবে, এমনটা সবসময় করা যাবে কিনা? এবং মা অসুস্থ থাকলে তখন ৪০ দিন পুরা করা জরুরি কিনা?

উস্তাদ, উল্লেখিত বিষয়গুলোর মতো আরো অসংখ্য হাদিস ও আয়াত যেগুলোতে "আল্লাহর রাস্তা"/"ফি সাবিলিল্লাহ" বলা আছে। ওগুলো আমরা তাবলীগের জন্য ব্যবহার করতে পারব কিনা? এইভাবে আল্লাহর পথ বলে ব্যাখ্যা করলে তো উল্লেখিত আয়াতগুলোকে আমরা নামাজে যাওয়া, হজে যাওয়া, ওয়াইফের জন্য শাড়ি কেনা... সমস্ত নেক আমলেই আমরা আয়াতগুলো ব্যবহার করতে পারি
by (24 points)
edited by
হুজুর, http://ifatwa.info/67384/
সেই পরিহিত জামাকাপড় গুলো তো পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে। এখন কি করবো হুজুর?
টিস্যুতে কি গন্ধ চেক করে দেখবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুয়েত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত 
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যা " কিতাবের ২৪নং ভলিউম১৬৬নং পৃষ্টায় "ফী সাবিলিল্লাহ"র অত্যান্ত সুন্দর ব্যখ্যা করা হয়েছে।যার অনুবাদ আমি নিম্নে উল্লেখ করার চেষ্টা করছি.........
السبيل هو الطريق، يذكر ويؤنث. قال الله تعالى: {قل هذه سبيلي}
وسبيل الله في أصل الوضع هو: الطريق الموصلة إليه تعالى، فيدخل فيه كل سعي في طاعة الله، وفي سبيل الخير.
وفي الاصطلاح هو الجهاد
সাবিল অর্থ রাস্তা,যা পুঃলিঙ্গ ও স্ত্রীঃলিঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে নবী আপনি বলে দিন,এটা আমার সাবিল বা রাস্তা)
সাবিলুল্লাহ মূলত ঐ রাস্তাকে বলা হয় যা বান্দাকে আল্লাহ তা'আলার নিকট পৌঁছে দেয়।

সুতরাং আল্লাহর অানুগত্যে সকল প্রকার চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও উত্তম কাজ সাবিলুল্লাহ এর অন্তর্ভূক্ত।

পরিভাষায়  সাবিলুল্লাহ জিহাদকেই বলা হয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5240

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাবিলুল্লাহ শব্দের অনেক অর্থ হতে পারে। কুরআন হাদীসের যত জায়গায় সাবিলুল্লাহ শব্দ এসেছে, সব জায়গায় কোনো একটি অর্থ নির্দিষ্ট নয়।বরং একেকে জায়গায় একেক অর্থ হিসেবে মুফাসসির ও মুহাদ্দিস উলামায়ে কেরাম ব্যখ্যা করেছেন। সুতরাং প্রত্যেক জায়গায় উলামায়ে কেরামদের ব্যখ্যামত অর্থ সাব্যস্ত করাই উচিৎ।

আপনার বর্লিত প্রত্যেক হাদীসের বিস্তারিত ব্যখ্যা লিখতে সময়ের প্রয়োজন। অসাপ্ত হিসেবে লিখাটা দিলাম।পরবর্তী সাপ্তাহে বিস্তারিত বিবরণ দেবো।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...