আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। সংশয় এড়ানোর জন্য নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তর আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

(১) ”কেহ যদি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট কোনো হালাল বস্তুকে হারাম বলেসেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।” এখন কেউ যদি কোনো হারামকে মন থেকে হারাম বলেই মেনে থাকে। কিন্তু অতীতে সেই হারাম কাজ করে উপকৃত হওয়ার কারণে বর্তমানে তা মনে পড়লে আনন্দিত হয় বা এমন ধারণা রাখে যে ওই হারাম কাজটি না করলে আজকের এই ভালো অবস্থানে আসতে পারতাম না, তাহলে এমন ধারণা রাখার কারণে কি সে কাফের হয়ে যাবে? আপনি গতবারের এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন--- না, সে কাফের হবে না। কারণটাও অনুগ্রহ করে যদি বলতেন।

(২) কিন্তু কেউ যদি বিশ্বাস করে ””পূর্বের হারাম কাজগুলো করে উপকৃত হওয়ার জন্য আনন্দিত হলে বা হারাম কাজের জন্য ভালো অবস্থানে আসতে পেরেছে এমনটা মনে করলে, হারামকে হারাম মনে করা সত্ত্বেও সে কাফের হয়ে যাবে।”” তাহলে এই বিশ্বাস করাটা কি ঈমানের জন্য ক্ষতিকারক (কাফের না হওয়া সত্বেও কাফের হতে পারে মনে করলে)? এই বিশ্বাস রাখার জন্য কি সে কাফের হতে পারে?

(৩) “হারামকে হারাম বলে বিশ্বাস করা সত্বেও, হারাম কাজ করে উপকৃত হয়েছে ” এমনটা মনে করা বড় গুনাহ? নাকি ”হারাম কাজ করে উপকৃত হয়েছে এমনটা মনে করলে সে কাফের” এই বিশ্বাস রাখা বড় গুনাহ?

(৪) গুনাহকে গুনাহ মনে করা সত্বেও যদি শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে ঈমান হারানোর জন্য, পূর্বের গুনাহগুলো করে উপকৃত হয়েছি এমনটা বারবার মনে করিয়ে দেয়, তাহলে তা মনে করার কারণে কি আমি কাফের হয়ে যাবো? এক্ষেত্রে এটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা নাকি আমি সত্যিই গুনাহকে গুনাহ মনে করছি কিনা---এটা বোঝার উপায় কি? মাঝে মাঝে নিজের মনে কি আছে সেটা নিয়েই সংশয়ে পড়ে যাই।

(৫) এই ধরনের চিন্তা বা ঈমান নিয়ে সংশয় থেকে বের হওয়ার উপায় কি? যদি আমি ভুলে যাই যে, পূর্বে গুনাহ করে উপকৃত হয়েছি তাহলে হয়তো এই সংশয় থেকে বের হওয়া সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে সংশয় এড়াতে পূর্বের ওই গুনাহগুলো ভুলে গেলে ঈমান হারানোর সম্ভাবনা আছে কি? বা এটা কি এই সংশয় থেকে বের হওয়ার একটা ভালো উপায় হতে পারে?

(৬) গুনাহগুলো ছেড়ে দেওয়াটাই কি গুনাহগুলোকে গুনাহ বলে বিশ্বাস করার প্রমাণ বহন করে না? গুনাহগুলো ছেড়ে দেওয়া সত্বেও মনে মনে যদি তা নিয়ে সংশয়ে ভুগি যে,---- আমি আসলেই মন থেকে গুনাহগুলোকে গুনাহ মনে করছি কিনা নাকি প্রয়োজন নেই বলে এখন আর গুনাহ করছি না--- তাহলে এসব সংশয় বা দ্বিধাদন্দের জন্য কি কাফের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে????

(৭) আমার ভিতর একটা সংশয় কাজ করে-----পূর্বে গুনাহ করে উপকৃত হয়েছি এমনটা মনে করলে যদি কোনো কারণে আমি কাফের হয়ে যাই----- এই যে কোনো কারণে আমি কাফের হয়ে যাই কিনা এমন চিন্তা করা কি কুফরী বা ঈমান হারানোর দিকে ধাবিত করে? কেননা এই ধরনের চিন্তা করতে করতে মাঝে মাঝে আল্লাহর ক্ষমার প্রতি হতাশা এবং শরীয়তের বিধিবিধানকে কঠোর হিসেবে মনে হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ

বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
কেননা সে মুখে স্পষ্ট আকারে হারামকে হালাল বলেনি।
শুধু মন মনে কিছু ধারণা করেছে,মাত্র।

(০২)
এই বিশ্বাস রাখার দরুন সে কাফের হবেনা।

(০৩)
প্রথমটি গুনাহ নয়।

২য়টি ভূল আকীদা,এমন বিশ্বাসের দরুন গুনাহ হবেনা।

(০৪)
তাহলে তা মনে করার কারনে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০৫)
আপনি তওবা করে  পূর্বের গুনাহ গুলি ভূলে যাবেন।
এটিই করনীয়,এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেনা।

(উল্লেখ্য যে পূর্বে কোনো বান্দার হক নষ্ট করা না হয়।)

(০৬)
এমন সংশয়ের কারনে কাফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(০৭)
এমন চিন্তা করা কুফরি বা ঈমান হারানোর দিকে ধাপিত করেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...