আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
(আমার খুব কাছের বান্ধবীর পক্ষ থেকে প্রশ্ন করছি)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমি আসলে জানি না কিভাবে শুরু করবো। আমার কাজীনের এক ফ্রেন্ড এর সাথে আমার একটা সময় কথা হতো। সেভাবে খুব রেগুলারলি কথা না। ধীরে ধীরে মানুষটা আমার প্রতি উইক হয়ে যান। সেটা বুঝতে পেরে আমি কথা বলা মিউচুয়ালি বন্ধ করে দিই। সে মেনে নেয়। কারণ আমি হারাম সম্পর্কে জড়াতে চাই নি। উনিও আমার এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বাট উনি সবসময় সামহাও আমার খোজ খবর রাখতেন। মাঝেমাঝে যখন শয়তানে ওয়াসওয়াসার সাথে পারতাম না তখন মেসেজ দিতাম বা উনি দিতেন। কিন্তু কখনোই তা এক- দুইদিনের বেশি আগাতো না। আবার বন্ধ করে দিতাম। এরপরে আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান। উনি জানতে পেরে কয়েকদিন পরে আমাকে কল দিয়ে প্রথমবারের মত বলেন- আপনি রাজি থাকলে আমি চাই আপনাকে আমার কাছে নিয়ে আসতে হালালভাবে। কারণ এখন আপনি যতদিন ওইখানে থাকবেন ততই মানুষের নানানরকম কথা শুনতে থাকবেন যেটা আমি কোনোদিনও চাই না।
কিন্তু আমার পক্ষে তখন আমার পরিবারে এসব কিছু জানানো সম্ভব ছিলো না। আমি পরিবারে একজন মাত্র মেয়ে। আমার মা কাইন্ড অফ আমার উপর পুরোটা ডিপেন্ডেণ্ড হয়ে যান। উনাকে বুঝানোর পরে উনি থেমে যান। আবার শুরু হয় যোগাযোগ  বন্ধের সময়। অনেক দিন পরে উনি আমাকে জানান উনি খুব সিরিয়াস এবার। উনি চান এবার সিরিয়াসলি কিছু একটা হোক। হয় এস্পার না হয় ওস্পার। আমিও আসলে এভাবে দোটানায় থাকতে পারছিলাম না। কিন্তু আম্মাকে জানানোর সাহস কেনো আমি পাচ্ছি না আমি জানি না। খালি ভয় হচ্ছে এটা কি হারাম হয়ে যাচ্ছে না তো! আবার এটাও আমার মনে হচ্ছে আমি কি বাসায় না জানানোতে কোনোভাবে উনাকে ঠকাচ্ছি?? এটলিস্ট উনার বায়োডাটা টাও তো বাসায় দেখানো যেতো।  তারপরে পরিবার রাজি হলে হয়তো কিছু হতো.... হয়তো হতো না।  কিন্তু এটলিস্ট ট্রাই করা হতো। এই সবকিছু আমার মাথাউ শুধু ঘুরে।  আমি এটাও বুঝতে পারছি না এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা??  এই পুরোটা? বাসায় জানানোর ব্যাপারটা।  আমি কি করবো বুঝতেছি না। আমার কি বাসায় জানানো উচিত??  এটা কি হালাল হিসেবে গণ্য হবে?? উনার সাথে আমার কখনোই কোনো নিচ কোনো কথা হয় নি। একজন ননমাহররাম হিসেবে কথা হতো। মানে মেসেজিং। আমি জানি এটাও গুনাহ। আমি আল্লহর কাছে পানাহ চাই যখনি মনে পড়ে।
এখন আমার প্রশ্ন আমি কি বাসায় জাস্ট একবার সিরিয়াসলি জানাবো??  এটা কি হালাল ওয়ে হবে???  এটার জন্য মাঝেমাঝে যে রিগ্রেট ফিল হয়  সেটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?? নাকি আমি কোনো ট্রাই করবো না??
আমি ইস্তিখারার নামাজ পড়েছি টানা। কিন্তু আমি কোনো সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারি নি। আমি খুব অসহায় ফিল করি যখনি কোনো সমন্ধ আসে। বুঝে উঠতে পারি না আমার কি করা উচিত। শুধু মনে হয় তার জন্য কি আমার চেষ্ট করা উচিত ছিল??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


বিবাহ পূর্ব প্রেম বা ভালোবাসা হারাম।
এটি অনেক ক্ষেত্রে জিনা ব্যভিচারের প্রবেশপথ হয়। 

ব্যভিচারের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, 
ولا تقربوا الزني إنه كان فاحشة وساء سبيلا 

‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সূরা: বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩২)
.

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা, জিবের ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)। (বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য করনীয় থাকবে এখনই সেই ছেলের সাথে পুরোপুরি কথা বন্ধ করে দেয়া।
অনলাইন সাইট গুলো হতে ব্লক করে দেয়া,মোবাইল থেকেও ব্লক করে দেয়া।
কোনোভাবেই যেনো আর যোগাযোগ না হয়।

এরপর চাইলে মায়ের সাথে সেই ছেলের প্রস্তাবের বিষয় অবহিত করা।
তাতে তার মা সাড়া দিলে নিজে নয় বরং পারিবারিকভাবে পুরুষদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ছেলের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে বিবাহের বিষয় নিয়ে সমে এগোনো।

আর যদি তার মা বিষয় শুনে গুরুত্ব না দেয়,বা নিজ পরিবার বা ছেলের পরিবার রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে বিষয়টি মাথা থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...