ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ: آلم حَرْفٌ. أَلْفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের কোন একটি অক্ষরও পাঠ করবে, সে নেকী পাবে। আর নেকী হচ্ছে ‘আমলের দশ গুণ। আমি বলছি না যে,(الٓمٓ) ‘আলিফ লাম মীম’ একটি অক্ষর। বরং ‘আলিফ’ একটি অক্ষর, ‘লাম’ একটি অক্ষর ও ‘মীম’ একটি অক্ষর। (তাই আলিফ, লাম ও মীম বললেই ত্রিশটি নেকী পাবে)।
(সহীহ : তিরমিযী ২৯১০, সহীহাহ্ ৩৩২৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১৬, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৬৯, দারিমী ৩৩১১.মেশকাত ২১৩৭।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআন তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফের বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি করে নেকী পাওয়া যায়।
শুধু অর্থ পড়লে উপরোক্ত ফাজিলত পাওয়া যাবেনা।
তবে সেক্ষেত্রেও নেকী থেকে খালি নয়,বরং নেকী হবে।
★সুতরাং আপনি যে শুধু বাংলা অর্থ পড়ে যাচ্ছেন, আরবীটা আপাতত পড়ছেননা,এভাবে বাংলা অর্থ পড়ে ৩০ পারা শেষ করলে আপনার এক খতম হবেনা।
এভাবে বাংলার পাশাপাশি আরবীটা না পড়লে গুনাহগার হবেননা।
এর দরুন নেকী থেকে খালি নয়,বরং এর জন্যেও আপনার নেকী হবে।
তবে কুরআন তিলাওয়াতের নেকী পাওয়া যাবেনা।