আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
edited by
১. স্কুল-মাদ্রাসায় বাংলা ইংরেজী তে বিভিন্ন গল্প পড়ায় , যা মুলত গ্রীক লেখকদের হয়ে থাকে । তাতে বিভিন্ন দেবতার কথা লেখা থাকে যেমন ,"" ; এক জন জ্ঞানী দেবতা তার চাওয়া গ্রহন করে নিলো "  ; " ওই দেবতা তার সব চাওয়া পূরণ করে দিলো""  গল্পের এই লাইন গুলো স্কুলে পড়ালে কি আমাদের ইমান চলে যাবে? আমি আজকে পড়াতে গিয়ে এই সব লাইন পড়ার পর বলেছি যে এগুলো গ্রিক লেখক দের লেখা তাই তারা দেবতার কথা লিখেছে । ( পড়ানো সময় মনে এসেছে ,কোথায় পড়েছিলাম যে নকল দেখে দেখে কোনো কুফরী কথা পড়লে ইমান যায় না তাই পড়িয়েছিলাম ) এক্সেত্রে কি করনীয় ?

২. এথন স্কুল মাদ্রাসার ছোটদের বইযে যেভাবে বিবর্তন এর বিষয় নিয়ে আসছে , বা পর্দা নিয়ে বিভিন্ন কথা , তা আমরা রিডিং পড়ালে কি ইমান চলে যাবে? এই ক্ষেত্রে কি করবো ? কিভাবে পড়াভো ?
৩. একবার আমার বউকে বলি যে,,, তোমার কিছু কিছু আচরণ সহ্য হয় , তখন সে বললো,"সহ্য না হলে ছেড়ে দাও না কেনো" আমি বললাম, " আজাইরা কথার জায়গা পাও না".
পরে আবার বললো "সহ্য করতে না পরলে তো ছাইড়া দিতায়" / "সহ্য করতে না পারলে ছাইড়া দেও না কেরে/সহ্য না হলে ছেড়ে দেও  " (এই তিন কথার এক কথা, বা ইরম ই কোন কথা বলেছে, যা তার আমার কারোর ই পরিষ্কার মনে পরছে না)।
তার পর আমি বলি, "আচ্ছা,  এই কাজ করো "।(কোন কাজের কথা বলেছিলাম মনে নাই )
এই "আচ্ছা" তার ওই কথার জাবাবে,  অর্থাৎ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ২য় কথাটির  জবাবের নিয়তে বলি নাই। আমরা অনেক সময় বলি না? যেমন "আচ্ছা,অমুকের কি খবর" বা "আচ্ছা, চলো ঘুরে আসি এইরকম কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম। জবাব দেওয়ার পর মনে হলো আচ্ছা কি তার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হয়ে গেলো কি না। এর পর থেকে ভাবনায় আছি।

৪. কেও যদি  " আমরা মোতাজিলাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না , কিন্তু আশআরীদের নিয়ে পড়ে আছ" এই কথা বলতে গিয়ে "; আমরা মোতাজিলা..."  বলে কোনো কারণে থেমে যায় । এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে? ( নিজেকে মোতাজিলা বলার ইচ্ছা নাই , তাই খানিক পরেই  যখন মনে পরে বাক্য অসরমপুরন হয়ে আছে আর ভিন্ন অর্থ দিচ্ছে তখন বাকি অ্ংশ বলে তা পূরণ করে )

৫. কেও যদি  মনের অনিচ্ছায় ও মনে মনে বলে ফেলে যে অমুককে ম্যাসেজ দিলে সে কাফের হয়ে যাবে। এর পরে যদিও সে বুঝতে পারছে এতে তো কিছু হওয়ার কথা না যেহেতু মুখে বলে নি, তাও কেনো যেনো মনের ভয়ে ম্যাসেজ করছে না, এখন সে ফোন দেওয়ায় ওই মানুষকে যদি সে ম্যাসেজ করে ফেলে তার ইমান চলে যাবে?

৬." মন আমার দেহ ঘরি,সন্ধান করি কোন মিস্ত্রি বানাইয়াছে" এই লাইন গাইলে কি কুফর হবে?

৭. যেখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যেখানে সেখানে অপবিত্র জায়গায়,  বা অসম্মানিত জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেকল জায়গা থেকে, বিসমিল্লাহ সরিয়ে ফেলাই কি ভালো?
by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
আমি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করি। গতকাল ৪র্থ শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার সময় বাংলা বিষয়ে পাঠদানের সময় ১টি কবিতা " মজিব মানে মুক্তি " যা দেখে আমার মনে হয় এটি ইসলাম বহির্ভূত কথা। তাই পাঠদানের আগে শিক্ষার্থীদের বলি এটি একটি কাল্পনিক কবিতা যার উপর আকিদা বা বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক কথা বলা হয় যা আমার পুরোপুরি মনে পরতাছে না। যতদূর মনে পরে তা হল - "আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" কিন্তু আমাদের পাঠের বিষয়ে ভালো কিছু ও আছে যেমন বাংলা বইয়ে হযরত ওমর রাঃ এর জীবনী, ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি। কিন্তু এসব কিছু চিন্তা না করেই হটাত ভুল করে " আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" এই কথা বলেছি। এতে করে কি ইমানে কোন সমস্যা হবে? আসলে আমি চেয়েছি ইসলাম বহির্ভূত কোন পাঠে বিশ্বাস না করার জন্যই এই কথা বলেছি। 

আর বিষয়টি ভালো করে মনে করতে পারছি না বিধায় লেখায় কোন ভুল ত্রটি হলে কি কোন সমস্যা হবে? আর আমি বিবাহিত এতে কি কোন সমস্যা হবে? 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/26400/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
 
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের  যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না। 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরীক্ষায় বর্ণনার জন্য যেকোনো কুফরী কথা/মিথ্যা গল্প লিখলে ঈমান চলে যাবেনা।
এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে।
,
তবে ইসলাম বিরোধী কোনো আকীদা পোষন করা জায়েজ হবেনা।    

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনার ও স্টুডেন্ট দের আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এগুলো পড়লে/পড়ালে সেটি কুফরি হবেনা।

তবে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে,এই জাতীয় পড়াগুলো শুরু করার আগ দিয়ে এগুলো যে ইসলামী বিরোধী বিষয়, তাহা স্টুডেন্টদের সামনে স্পষ্ট করা। 

(০২)
এই জাতীয় পড়াগুলো শুরু করার আগ দিয়ে এগুলো যে ইসলামী বিরোধী বিষয়, তাহা স্টুডেন্টদের সামনে স্পষ্ট করা জরুরী। 

এরপর আপনার ও স্টুডেন্ট দের আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এগুলো পড়লে/পড়ালে সেটি কুফরি হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৪)
এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এখন সে ফোন দেওয়ায় ঐ মানুষকে যদি সে ম্যাসেজ করে ফেলে,তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে উক্ত লাইন গাইলে কুফর হবেনা।

(০৭)
হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে নিজের সক্ষমতা অনুসারে সেসকল জায়গা হতে বিসমিল্লাহ সড়িয়ে ফেলা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
আমি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করি। গতকাল ৪র্থ শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার সময় বাংলা বিষয়ে পাঠদানের সময় ১টি কবিতা " মজিব মানে মুক্তি " যা দেখে আমার মনে হয় এটি ইসলাম বহির্ভূত কথা। তাই পাঠদানের আগে শিক্ষার্থীদের বলি এটি একটি কাল্পনিক কবিতা যার উপর আকিদা বা বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক কথা বলা হয় যা আমার পুরোপুরি মনে পরতাছে না। যতদূর মনে পরে তা হল - "আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" কিন্তু আমাদের পাঠের বিষয়ে ভালো কিছু ও আছে যেমন বাংলা বইয়ে হযরত ওমর রাঃ এর জীবনী, ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি। কিন্তু এসব কিছু চিন্তা না করেই হটাত ভুল করে " আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" এই কথা বলেছি। এতে করে কি ইমানে কোন সমস্যা হবে? আসলে আমি চেয়েছি ইসলাম বহির্ভূত কোন পাঠে বিশ্বাস না করার জন্যই এই কথা বলেছি। 

আর বিষয়টি ভালো করে মনে করতে পারছি না বিধায় লেখায় কোন ভুল ত্রটি হলে কি কোন সমস্যা হবে? আর আমি বিবাহিত এতে কি কোন সমস্যা হবে?
by (50 points)
হুজুর, অনুগ্রহ করে উত্তর দেন । 

by (565,890 points)
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...