আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর বড় পেরেশানিতে পরে আপনার কাছে এই লেখা,
(১)  সহবাসের সময় একপর্যায়ে,  বিবির স্তন চোষার সময় ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ বললে কি কোন সমস্যা হবে? আমি দিন আগে পড়েছিলাম - কোন হারাম বস্তু ভক্ষণ করার আগে বিসমিল্লাহ বলা কুফরি কাজ। উল্লেখ্য যে আমার মেয়ের বয়স তিন বছর । যতদূর মনে পরে স্তনে দুধ নেই।
(২) আরেকটি প্রশ্ন কুফর বিসয়ে জানার পরে এখন শুধু এগুলো মাথায় গুরপাক করে। কথা ঠিক মত বলতে পারই না । মনে হয় কুফরি কথা বের হয়ে গেল।
মাজে মাজে বিড়বিড় করে মনে হয় বের হয়ে যায়। কি করবো  কিছুই বুজতে পারছি না।
(৩) গতকাল সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরি পীর সম্পর্কে আলোচনা হলে কথা প্রসঙ্গে বলা হয় সেখানকার অনেক মুরিদ দারিয়ে দারিয়ে কুলা কুলি করে জিকির করে তাই আমার বিবি না বুঝে বলে ভণ্ড পীর। এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (696,520 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"মানুষের জন্য মানুষের দুধ খাওয়া হারাম।শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে শিশুর জন্য মায়ের দুধকে হালাল রাখা হয়েছে।সুতরাং স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ পান করা হারাম।এ ব্যাপারে প্রায় সকল উলামায়ে কেরাম একমত।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।"
#স্ত্রীর দুধ খাওয়া হারাম।কেননা দুধ মানুষের শরীরের অংশ।এটা জানা সত্বেও যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে নেয়,তাহলে ঐ স্ত্রী যদিও তার স্বামীর জন্য হারাম হবে না।তবে এমন কাজ সর্বদা হারাম বলেই বিবেচিত হবে।
#জেনেবুঝে কোনো হারামকে হালাল মনে করা এবং হালালকে হারাম মনে করা স্পষ্টত কুফরী।এর জন্য অবশই ঈমান নবায়ন করতে হবে।কালিমা পড়ে ঈমানকে নবায়ন করতে হবে। 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5928



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  সহবাসের সময় একপর্যায়ে,  বিবির স্তন চোষার সময় ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ বললে কোন সমস্যা হবে না  
ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২) এটা ওয়াসওয়াসা। এজন্য আল্লাহর কাছে সমাধান চান, আল্লাহ যেন আপনাকে রক্ষা করেন।

(৩)  এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...