আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
১.আমি যদি হানাফি সব বিষয় follow করি কিন্তু শুধু নামাজ টা যদি অন্য ভাবে পড়ি,তাহলে সমস্যা হবে? কারণ নামাজের সাথে তো অন্য কিছুর তেমন সম্পর্ক নেই যেমনটা বলা হয় যে,পরস্পর সম্পর্কযুক্ত আমলের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় একেক মাজহাবের একেক হুকুম মানলে। আর এখানে আমি খেয়াল খুশিরও অনুসরণ করছি না।তাহলে শুধু নামাজটা অন্যভাবে পড়লে সমস্যা হবে?এখানে প্রবৃত্তির অনুসরণও হচ্ছে না(কারণ আমি ছেলেদের মতো করে নামাজ পড়তে চাচ্ছি।যেহেতু হঠাৎ করে ছেলেদের মতো করে নামাজ পড়া একটু কষ্টসাধ্য,সেখানে প্রবৃত্তির অনুসরণের তো প্রশ্ন আসে না।প্রবৃত্তির অনুসরণ তো হবে তখন যখন আমি আমার সুবিধামতো সহজটা বাছাই করে নিবো)<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230126_223309_367.sdocx-->

২.একজনের বিবাহের প্রস্তাবকৃত জায়গায় (আলাপকালে) আরেকজনের প্রস্তাব দেয়া মাকরুহে তাহরীমী-বিষয়টা কিরকম? আর কার জন্য এটা মাকরুহ হবে? যে প্রস্তাব দেয় তার নাকি যাকে দেয়া হয় তার জন্যও?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230126_223351_818.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (696,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﺃﺧﺒﺮﻧﺎﻩ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺃﻧﺒﺄ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﻟﻔﺴﻮﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﺆﻟﺆﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺩﺍﻭﺩ ﺃﻧﺒﺄ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ ﺃﻧﺒﺄ ﺣﻴﻮﺓ ﺑﻦ ﺷﺮﻳﺢ ﻋﻦ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻏﻴﻼﻥ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺒﻴﺐ : ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻣﺮﺃﺗﻴﻦ ﺗﺼﻠﻴﺎﻥ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺗﻤﺎ ﻓﻀﻤﺎ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻟﻴﺴﺖ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﺮﺟﻞ ( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ﻟﻠﺒﻴﻬﻘﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻴﺾ،ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻠﻤﺮﺃﺓ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺘﺠﺎﻓﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ﻭﺍﻟﺴﺠﻮﺩ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3016- )
তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন-“উল্লেখিত হাদিসটি সকল ইমামদের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসেবে পেশ করায় যোগ্য”।
মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আমীর ইয়ামানী “সুবুলুস সালাম” শরহু বুলুগিল মারাম” গ্রন্থে (১/৩৫১-৩৫২) এই হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে পুরুষ ও মহিলার সেজদার পার্থক্য করেছেন।

নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/498

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নারীরা নারীদের মত নামায পড়বে, এটাই সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি। নারীদের মত নামায পড়া নারীদের জন্য সুন্নত। ফরয নয়। সুতরাং কোনো নারী যদি পুরুষের মত নামায পড়ে নেয়, তাহলে তার নামায ফাসিদ না, সে কথা বলা যাবে না। বরং তার নামায আদায় হয়ে যাবে। সামান্য কষ্ট হলেও নারীরা নারীদের মতই নামায পড়ার চেষ্টা করবে। ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হবে ইনশা'আল্লাহ। শতচেষ্টার পরও কোনো নারী যদি পুরুষের মত নামায পড়ে নেয়, তাহলে সেটা প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে না।

(২)
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَلاَ يَخْطُبْ بَعْضُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ بَعْضٍ "
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন অন্যের দামাদামীর উপর দর বাড়িয়ে না বলে এবং অন্যের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।(সহীহ মুসলিম-৩৩২৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, কারো বিবাহের প্রস্তাব এসেছে, এমতাবস্থায় তার নিকট বিবাহের প্রস্তাব দেয়া "মাকরুহে তাহরীমি"। যিনি বিবাহের প্রস্তাব দিবেন, উনার জন্য মাকরুহ হবে।যাকে প্রস্তাব দেয়া হবে, উনার জন্য মাকরুহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এক মেয়ের পরিবারে একজন প্রস্তাব পাঠানোর পরে পরবর্তীতে অন্য প্রস্তাব আসলে, প্রথম প্রস্তাবের বিষয়ে কথা না বলে দ্বিতীয় প্রস্তাবের সেখানে কথা বলা কি মেয়ের পরিবারের জন্য ঠিক হবে? কতটুকু ঠিক বা ভুল হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...