আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (63 points)
১. স্কুল-মাদ্রাসায় বাংলা ইংরেজী তে বিভিন্ন গল্প পড়ায় , যা মুলত গ্রীক লেখকদের হয়ে থাকে । তাতে বিভিন্ন দেবতার কথা লেখা থাকে যেমন ,"" ; এক জন জ্ঞানী দেবতা তার চাওয়া গ্রহন করে নিলো "  ; " ওই দেবতা তার সব চাওয়া পূরণ করে দিলো""  গল্পের এই লাইন গুলো স্কুলে পড়ালে কি আমাদের ইমান চলে যাবে? আমি আজকে পড়াতে গিয়ে এই সব লাইন পড়ার পর বলেছি যে এগুলো গ্রিক লেখক দের লেখা তাই তারা দেবতার কথা লিখেছে । ( পড়ানো সময় মনে এসেছে ,কোথায় পড়েছিলাম যে নকল দেখে দেখে কোনো কুফরী কথা পড়লে ইমান যায় না তাই পড়িয়েছিলাম ) এক্সেত্রে কি করনীয় ?

২. এথন স্কুল মাদ্রাসার ছোটদের বইযে যেভাবে বিবর্তন এর বিষয় নিয়ে আসছে , বা পর্দা নিয়ে বিভিন্ন কথা , তা আমরা রিডিং পড়ালে কি ইমান চলে যাবে? এই ক্ষেত্রে কি করবো ? কিভাবে পড়াভো ?
৩. একবার আমার বউকে বলি যে,,, তোমার কিছু কিছু আচরণ সহ্য হয় , তখন সে বললো,"সহ্য না হলে ছেড়ে দাও না কেনো" আমি বললাম, " আজাইরা কথার জায়গা পাও না".
পরে আবার বললো "সহ্য করতে না পরলে তো ছাইড়া দিতায়" / "সহ্য করতে না পারলে ছাইড়া দেও না কেরে/সহ্য না হলে ছেড়ে দেও  " (এই তিন কথার এক কথা, বা ইরম ই কোন কথা বলেছে, যা তার আমার কারোর ই পরিষ্কার মনে পরছে না)।
তার পর আমি বলি, "আচ্ছা,  এই কাজ করো "।(কোন কাজের কথা বলেছিলাম মনে নাই )
এই "আচ্ছা" তার ওই কথার জাবাবে,  অর্থাৎ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ২য় কথাটির  জবাবের নিয়তে বলি নাই। আমরা অনেক সময় বলি না? যেমন "আচ্ছা,অমুকের কি খবর" বা "আচ্ছা, চলো ঘুরে আসি এইরকম কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম। জবাব দেওয়ার পর মনে হলো আচ্ছা কি তার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হয়ে গেলো কি না। এর পর থেকে ভাবনায় আছি।

৪. কেও যদি  " আমরা মোতাজিলাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না , কিন্তু আশআরীদের নিয়ে পড়ে আছ" এই কথা বলতে গিয়ে "; আমরা মোতাজিলা..."  বলে কোনো কারণে থেমে যায় । এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে? ( নিজেকে মোতাজিলা বলার ইচ্ছা নাই , তাই খানিক পরেই  যখন মনে পরে বাক্য অসরমপুরন হয়ে আছে আর ভিন্ন অর্থ দিচ্ছে তখন বাকি অ্ংশ বলে তা পূরণ করে )

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"" ; এক জন জ্ঞানী দেবতা তার চাওয়া গ্রহন করে নিলো "  ; " ওই দেবতা তার সব চাওয়া পূরণ করে দিলো""  

গল্পের এই লাইন গুলো স্কুলে পড়ানোর সময় বলে দিবেন, এগুলো মুসলিমদের আকিদা নয়।এগুলো অমুসলিমদের আকিদা। আমরা নিরপায় হয়ে এগুলো পড়াচ্ছি ও তোমরা পড়ছো। এই আকিদা ঈমান বিধ্বংসী। এগুলো বলে দিবেন।


(২) 
''স্কুল মাদ্রাসার ছোটদের বইয়ে যেভাবে বিবর্তন এর বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, এবং পর্দা নিয়ে বিভিন্ন উল্টাপাল্টা কথা এসেছে"

এগুলো রিডিং পড়ানোর সময় বলে দিবেন, যে এগুলো অনৈসলামিক।  আমরা নিরপায় হয়ে এগুলো পড়াচ্ছি ও তোমরা পড়ছো। এই আকিদা ঈমান বিধ্বংসী। এগুলো বলে দিবেন।

(৩) 
একবার আমার বউকে বলি যে,,, তোমার কিছু কিছু আচরণ সহ্য হয় , তখন সে বললো,"সহ্য না হলে ছেড়ে দাও না কেনো" আমি বললাম, " আজাইরা কথার জায়গা পাও না".
পরে আবার বললো "সহ্য করতে না পরলে তো ছাইড়া দিতায়" / "সহ্য করতে না পারলে ছাইড়া দেও না কেরে/সহ্য না হলে ছেড়ে দেও  " (এই তিন কথার এক কথা, বা ইরম ই কোন কথা বলেছে, যা তার আমার কারোর ই পরিষ্কার মনে পরছে না)।
তার পর আমি বলি, "আচ্ছা,  এই কাজ করো "।(কোন কাজের কথা বলেছিলাম মনে নাই )
এই "আচ্ছা" যেহেতু তার কথার জবাবে বলেননি, তাই তালাক হবে না।

(৪)
কেউ যদি  " আমরা মোতাজিলাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না , কিন্তু আশআরীদের নিয়ে পড়ে আছ" এই কথা বলতে গিয়ে "; আমরা মোতাজিলা..."  বলে কোনো কারণে থেমে যায় । এতে তার ইমানে সমস্যা হবে না।কেননা তার নিয়তে নিজেকে মু'তাজিলাদের দিকে সম্বন্ধ করা ছিলনা। সুতরাং তার এমন কথায় কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

আসসালামু আলাইকুম

আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, গতকাল ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সময় বাংলা বিষয়ে একটি কবিতা পড়ানোর সময় মনে হল কবিতাটি ইসলাম বহির্ভূত। এজন্য পড়ানোর আগে শিক্ষার্থীদের বলে নিলাম – এগুলো হল কল্পিত বিষয় এগুলোর উপর আকিদা / বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না বা আমরা বিশ্বাস করব না।

পাশাপাশি আনুষঙ্গিক কিছু কথা বলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে কিন্তু কথা গুলো কিভাবে বা কি বলেছি তা মনে করতে পারছি না।           কথাগুলো হল  (যতদূর মনে পড়ছে) -  “আমরা বইয়ের পড়াগুলোর উপর আকিদা পোষণ করব না”

 অথচ বাংলা বইয়ে হজরত উপর রাঃ এর জীবনী অধ্যায় রয়েছে। বা আমাদের ইসলাম ধর্ম বই ও আছে যা অত্যান্ত ভালো বই। কিন্তু ঐ মুহূর্তে এগুলো মাথায় ছিল না। আমি ভুল করে কথাগুলো বলেছি। এতে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। বা আমার এই লেখার ক্ষেত্রে কোন ভুল ত্রুটি হলে ঈমানের কোন সমস্যা হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...