আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
408 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (56 points)
যদি স্বামী তার স্ত্রী কে দ্বীন পরিপূর্ণ পালনে বাধা দেয়,,এবং বিভিন্ন রকম নির্যাতন করে,,এবং স্ত্রীর পক্ষে সম্ভব না হয় তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখা এবং যদি  স্বামী তালাক না দিতে চায়,, সে ক্ষেত্রে অই মেয়ের করনীয় কি?  উল্লেখ্য কাবিননামায় স্ত্রী চাইলে স্বামীর অনুমতি ক্রমে তালাক চাইতে পারে এই মর্মে স্বাক্ষর ও করেছে স্বামী।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

قال اللّٰہ تعالیٰ: {وَاللّٰاتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَہُنَّ فَعِظُوْہُنَّ وَاہْجُرُوْہُنَّ فِیْ الْمَضَاجِعِ} [النساء، جزء آیت:۳۴]

হাদীস শরীফে এসেছে   
عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হালাল হলো তালাক প্রদান করা।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  যদি আপনি একদম নিরূপায় হয়ে গিয়ে থাকেন। কোন ভাবেই সম্পর্কটিকে আর টিকিয়ে রাখতে না পারেন,আর আপনার স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে আপনাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়ে থাকে,এর এই নিকাহ নামা যদি আপনাদের বিবাহ পড়ানোর পরে লেখা হয়ে থাকে,  তাহলে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারা অনুপাতে স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে আপনি লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর এক তালাক দিয়ে দিন। দুই বা তিন তালাক নয়। এক তালাক দেয়ার পর আপনার ইদ্দতকালীন সময় শেষ হলে আপনি অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ 

আর ইদ্দত শুরু হবে, তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তিন হায়েয পরিমাণ। তিন হায়েয শেষ হওয়ার আগে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ

আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)

ইদ্দত পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/5906/?show=5906#q5906
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বলা হয়েছে যে ""কাবিননামায় স্ত্রী চাইলে স্বামীর অনুমতি ক্রমে তালাক চাইতে পারে এই মর্মে স্বাক্ষর করেছে স্বামী""
এখানে বুঝা যাচ্ছে যে স্বামী এখনো স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেয়নি।
স্ত্রী এখন স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অনুমতি নিয়ে নিজ নফসের উপর উপরে উল্লেখিত শব্দে তালাক প্রদান করিবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...