আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
129 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
একটা মহিলা মাদ্রাসায় নূরানী ও হিফজ বিভাগে একজন হাফেজের সহযোগি হিসেবে পড়াতে হয়। কিন্তু সেখানে ১০ বছর বা এর কম বয়সী ছেলেও আছে। এখন কুরআন শিক্ষা দরসে  সবক বুঝায় দিতে/নিতে অনেক কাছে গিয়ে কথা বলতে হয় এবং সারির মাঝখানে যেতে গিয়ে বা যে কোন ভাবে তাদের শরীরের সাথে লেগে যাওয়া হয়। একজন মেয়ে হিসেবে বিষয়টা আমার ভালো লাগে না। কিন্তু দূর থেকে বুঝাও কষ্ট।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি পর্দা লঙ্গন হচ্ছে ও আমার গুনাহ হবে? আর এই অবস্থায় আমি কি করতে পারি? গিয়েছি সওয়াবের আশায় কিন্তু বুঝছি না কি করবো।
by (15 points)
কাউকে কাউকে দেখতে বয়স ১০ বছরের বেশী হবে যে ঐরকমও লাগে। যদিও এ ব্যাপারে নিশ্চিত না আমি।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পর্দার ক্ষেত্রে ক্লাস বিবেচ্য নয়। বরং এক্ষেত্রে বিবেচ্য হল ফিতনার আশংকা না থাকা। যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি তবে দেখতে সাবালকের মতই,তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়। পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572

যেহেতু শিক্ষা শরীয়তের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চায় দ্বীনী শিক্ষা হোক বা জেনারেল শিক্ষা হোক, তাই শিক্ষার জন্য শরীয়ত অপরাগতায় অনেক কঠিন বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসে। শিক্ষার বিধান জানতে ভিজিট করুন-

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর  খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ছাত্রদের পড়াতে পারবেন,যদি ফিতনার আশংকা না থাকে। তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা এবং উত্তম হচ্ছে,ঐ ছাত্রদের একাকি পড়াবেন না বরং একসাথে তাদের সবাইকে পড়াবেন। এবং রুক্ষভাষায় তাদের সাথে কথা বলবেন।এবং তাদের থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...