জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীয় দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা হল ইসলাম:
দ্বীন-ইসলাম হচ্ছে বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকট একমাত্র মনোনীত ও গ্রহণীয় জীবন ব্যবস্থার নাম। ইসলাম ছাড়া যত ধর্ম এবং মতাদর্শ রয়েছে সবই বাতিল- মিথ্যা।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّـهِ الْإِسْلَامُ
“আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) ইসলাম।” (সূরা আলে ইমরান: ১৯)
তিনি আরও বলেন:
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীন (ধর্ম, মতাদর্শ,জীবন ব্যবস্থা) অনুসন্ধান করবে তার নিকট থেকে তা কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং সে ব্যক্তি হবে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা আলে ইমরান: ৮৫)
সুতরাং আমাদের মনের মধ্যে এই দৃঢ় বিশ্বাস প্রথিত করা অপরিহার্য যে, আল্লাহ তা’আলার নিকট একমাত্র পছন্দনীয়, নির্বাচিত এবং গ্রহণযোগ্য দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম ছাড়া যত ধর্ম, মতামত ও মতাদর্শ আছে সবই বাতিল, ভ্রান্ত এবং মিথ্যা।
কেউ যদি ইসলামের প্রতি সন্দেহ পোষণ করে বা ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করে সে নিশ্চিতভাবে কাফির হয়ে যাবে। আর কাফিরের পরিণতী চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বামী যেহেতু সংশয়বাদী, সুতরাং তাকে বুঝাতে হবে।
আপনি প্রয়োজনে তাকে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ,সত্যকথন,উল্টো নির্ণয়, সহ এ সংক্রান্ত গ্রন্থ গুলি হাদিয়া দিতে পারেন।
,
তিনি যদি মুখে কুফরি বাক্য উচ্চারণ করে বা কুফরি কাজ করে, তাহলে তো তার ঈমানই চলে যাবে।
সেক্ষেত্রে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
তিনি ঈমান আনার আগ পর্যন্ত তার সাথে নতুন ভাবে বিবাহ পড়ানোও যাবেনা।