আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
103 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম।
রাসূল সাঃ বলেছেন টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করতে, যে নিচে পড়বে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে আখিরাতে। তিনি বলেছেন টাখনুর উপরে পড়তে যদি তা না পারো তাহলে টাকনুর অর্ধেক স্থানে পড়বে যদি তা না পারো তাহলে টাকনোর শেষ বরাবর পরবে।
টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করলে একেবারে সাদামাটা নিজেকে সিম্পল লাগে কোন অহংকার বোধ মনে হয় না, আবার টাকনুর মাঝখানে পড়লে একই রকমই মনে হয় কিন্তু টাকনুর শেষ বরাবর পড়লে যদি কারো মনে হয় টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করলে নিজেকে যতটা সাদামাটা সিম্পল লাগে টাখনুর শেষ বরাবর পড়লে তার থেকে নিজেকে কম সাদামাটা সিম্পল মনে হয়। তাহলে আল্লাহ কেনো টাকনুর শেষ বরাবর কাপড় পরিধান করতে বললেন?
প্রশ্ন (১) টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করলে যতটা সাদামাটা সিম্পল লাগে আবার টাকনুর শেষ বরাবর কাপড় পরিধান করলে যদি প্রকৃতপক্ষে ঠিক তেমনটাই সাদামাটা সিম্পল হয়। কিন্তু কোন লোকের কাছে যদি এরকম পার্থক্য মনে হয় তাহলে সে কি মুরতাদ হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (২) কোন লোক যদি এবাদতের কাজ করতেছে এমন সময় যদি তার কোন গুনাহের কাজ করতে ইচ্ছা করতেছে এবং সে যদি ভাবে পরে গেলে গুনার কাজটি করতে পারবে না তাই সে ইবাদতে কাজটি রেখে যদি গোনার কাজ করে। এভাবে ইবাদতের কাজের প্রতি যদি গুরুত্ব না দেয় তাহলে সেই বেক্তি কি মুরতাদ হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (৩)জীবন তো আল্লাহর দেওয়া এক নিয়ামত।তাইস্ত্রীকে ভালোবেসে যদি কোন বেক্তি তার স্ত্রীকে যদি বলে তুমি আমার জীবন, জানু এসব কথা বললে কি কোন প্রকার গুনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (573,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://www.ifatwa.info/8272 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –

তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেননা এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না) 
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।
(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)

টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ

অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
কোন লোকের কাছে যদি এরকম পার্থক্য মনে হয়, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবেনা।

(০২)
এভাবে ইবাদতের কাজের প্রতি যদি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে সেই ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যাবেনা।

(০৩)
কেহ যদি তার স্ত্রীকে ভালোবেসে বলে, তুমি আমার জীবন, জানু।

এসব কথা বললে কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।
মুহাব্বতে এমনটি বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...