ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইতিকাফ বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল,
(وَأَمَّا شُرُوطُهُ)
فَمِنْهَا النِّيَّةُ
وَمِنْهَا مَسْجِدُ الْجَمَاعَةِ فَيَصِحُّ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ لَهُ أَذَانٌ، وَإِقَامَةٌ هُوَ الصَّحِيحُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ،
وَمِنْهَا الصَّوْمُ،
(وَمِنْهَا الْإِسْلَامُ وَالْعَقْلُ وَالطَّهَارَةُ عَنْ الْجَنَابَةِ وَالْحَيْضِ وَالنِّفَاسِ)
(১) নিয়্যত করা (২) মসজিদে ইতিকাফ করা(৩) রোযা রাখা (৪) মুসলমান হওয়া (৫)জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া (৬) হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মসজিদেই ইতিকাফ করবেন। বাসায় রমজানের সুন্নত বা ওয়াজিব ইতিকাফ করা যাবে না।আপনি যদি রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ করতে চান, তাহলে মসজিদেই আপনাকে ইতিকাফ করতে হবে।
(২)
ঐ রেস্তোরা গুলোতে রান্নাকৃত মাছ বা ভেজিটেবলস খেতে পারবেন।
(৩)
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২,জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭) (শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/686
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হালাল ট্যাগ লাগানো বা পাকিস্তানি দোকান থেকে আনা গোস্তগুলো খাওয়া জায়েয হবে।
(৪)
অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8108
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
টাখনুর নিচে কেউ যদি অহংকার ব্যতিত এমনিতেই কাপড় পরিধান করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়তে কোনো বিধিনিষেধ নাই।তবে অহংকার করতে গিয়ে কেউ যদি টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করে,তাহলে সেটা মাকরুহে তাহরিমী হবে। নিয়মিত মাকরুহে তাহরিমী বা হারামে লিপ্ত ব্যক্তি ফাসিক বলে গণ্য হবে।আর ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে সেই নামাযকে দোহড়াতে হবে।
ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872
সুতরাং
আপনি ঐ সমস্ত ইমাম সাহেবদেরকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, তারা কেন টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করছে, যদি তারা অহংকার মূলক পরিধান করে থাকে, তাহলে তাদের পিছনে যত নামায পড়বেন, সেগুলোকে একাকি দোহড়িয়ে নিবেন। নতুবা দোহানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।