আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
১. আমি হংকং থাকি। আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মসজিদে যাওয়া আসা ঘন্টাখানেকের পথ। কাছাকাছি কোথাও মসজিদ নেই। আমি রমযানে ইতিকাফ করতে চাই। যে বাসায় ভাড়া থাকি সেখানকার কোনো রুম জায়গা নির্দিষ্ট করে নিয়ে বসতে পারব কি? উল্লেখ্য, দূরবর্তী ঐ মসজিদে কিভাবে থাকতে হয় বা কিভাবে ইতিকাফ করে সেটা জানি না। তাছাড়া, ওখানে পরিচিত কেউ নাই। খাওয়া-দাওয়া নিয়েও ভাবার ব্যাপার আছে। সহজ হয়, যদি রুমেই করতে পারি।

২. অনেক সময় প্রফেসর বা সহকর্মীদের দাওয়াতে রেস্তোরাঁতে যাই যেখানে শুকর বা হারাম খাবারই প্রাধান্য থাকে। তারা আমার ব্যাপারে খুব সতর্ক এবং জানে আমি কোনো মাংসই খাই না শুধু মাছ এবং শাকসবজি খাই। প্রশ্ন হচ্ছে, উক্ত অবস্থায়, ঐ রেস্টুরেন্টগুলাতে হালাল মাছ এবং ভেজিটেবলস খাওয়া যাবে কি?
৩. এখানে বাসার জন্য যেসব মাংস কিনি সেগুলা হালাল ট্যাগ লাগানো বা পাকিস্তানি দোকান থেকে আনা। সেগুলা খাওয়া ঠিক হচ্ছে কি?

৪. এখানে, কিছু ছাত্র জুম্মার নামাজ পড়ায় যাদের প্যান্ট টাখনুর নিচে থাকে (ইমামতির সময়েও)। এরকম হওয়ার কারণ কি? এতে কি নামাজ হয়? টাখনুর নিচে কোন শর্তে প্যান্ট গেলে সমস্যা নাই?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইতিকাফ বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল,
(وَأَمَّا شُرُوطُهُ)
فَمِنْهَا النِّيَّةُ
وَمِنْهَا مَسْجِدُ الْجَمَاعَةِ فَيَصِحُّ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ لَهُ أَذَانٌ، وَإِقَامَةٌ هُوَ الصَّحِيحُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ،
وَمِنْهَا الصَّوْمُ،
(وَمِنْهَا الْإِسْلَامُ وَالْعَقْلُ وَالطَّهَارَةُ عَنْ الْجَنَابَةِ وَالْحَيْضِ وَالنِّفَاسِ)
(১) নিয়্যত করা (২) মসজিদে ইতিকাফ করা(৩) রোযা রাখা (৪) মুসলমান হওয়া (৫)জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া (৬) হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মসজিদেই ইতিকাফ করবেন। বাসায় রমজানের সুন্নত বা ওয়াজিব ইতিকাফ করা যাবে না।আপনি যদি রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ করতে চান, তাহলে মসজিদেই আপনাকে ইতিকাফ করতে হবে।

(২)
ঐ রেস্তোরা গুলোতে রান্নাকৃত মাছ বা ভেজিটেবলস খেতে পারবেন।

(৩)
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২,জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭) (শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/686

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হালাল ট্যাগ লাগানো বা পাকিস্তানি দোকান থেকে আনা গোস্তগুলো খাওয়া জায়েয হবে।

(৪)
অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8108

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
টাখনুর নিচে কেউ যদি অহংকার ব্যতিত এমনিতেই কাপড় পরিধান করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়তে কোনো বিধিনিষেধ নাই।তবে অহংকার করতে গিয়ে কেউ যদি টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করে,তাহলে সেটা মাকরুহে তাহরিমী হবে। নিয়মিত মাকরুহে তাহরিমী বা হারামে লিপ্ত ব্যক্তি ফাসিক বলে গণ্য হবে।আর ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে সেই নামাযকে দোহড়াতে হবে।

ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872

সুতরাং
আপনি ঐ সমস্ত ইমাম সাহেবদেরকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন, তারা কেন টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করছে, যদি তারা অহংকার মূলক পরিধান করে থাকে, তাহলে তাদের পিছনে যত নামায পড়বেন, সেগুলোকে একাকি দোহড়িয়ে নিবেন। নতুবা দোহানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...