আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
reshown by
কোনো ব্যক্তি কাউকে প্রথমে আক্রমণ করে কোনো কথা বলে না কিংবা ঐ রকম ব্যবহার করে না। কিন্তু কেউ তাকে আক্রমণ করে কোনো কথা বা ঐরকম ব্যবহার করলে তাকে আর মন থেকে মাফ করতে পারে না। তার সাথে চেষ্টা করে দূরত্ব বজায় রাখার (যাতে তার সাথে খারাপ ব্যবহার যেন না হয় বা যে খারাপ ব্যবহার করেছে,সে যেন পরবর্তীতে আবার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে না পারে)।তার সম্পর্কে কেউ গিবত করেছে শুনলে, তার উপর রাগ করে কিন্তু মনে মনে খুশি হয় যে, তার আমলনামায় সওয়াবের পাল্লা ভারী হচ্ছে। বরং এমন মনোভাবও পোষণ করে যে তার ভালো মন্দে তার (যিনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন)আর কিছুই আসে যায় না, বরং আরো বেশি বেশি গিবত করে তার সওয়াবের পাল্লা ভারী করুক। এক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহারকারী ব্যক্তি যদি আত্মীয় হয়, মনে মনে পোষণ করে আত্মীয়তার সম্পর্ক আল্লাহর ভয়ে ছিন্ন করছে না,কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখবে।যেমন কখনো তারা কেমন আছে, ভালো আছে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়া পর্যন্ত-এর বেশি একটা কথাও না। এরকম ভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখা যাবে আরো ঝগড়া-ফ্যাসাদের সুযোগ না দেয়ার জন্য?আর গিবত সম্পর্কে এই মনোভাবে উক্ত ব্যক্তির কোনো গুনাহ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছে   
আবূ বারযাহ্ আস্লামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الْإِيْمَانُ قَلْبَهُ ! لَا تَغْتَابُوْا الْـمُسْلِمِيْنَ، وَلَا تَتَّبِعُوْا عَوْرَاتِهِمْ، فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللهُ عَـوْرَتَهُ، وَمَنْ يَّتَّبِعِ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِيْ بَيْتِهِ.
‘‘হে তোমরা যারা মুখে ঈমান এনেছো; অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গীবত এবং তাদের ছিদ্রান্বেষণ করো না। কারণ, যে ব্যক্তি মুসলিমদের ছিদ্রান্বেষণ করবে আল্লাহ্ তা‘আলাও তার ছিদ্রান্বেষণ করবে। আর আল্লাহ্ তা‘আলা যার ছিদ্রান্বেষণ করবেন তাকে তিনি তার ঘরেই লাঞ্ছিত করবেন’’। (আবূ দাউদ ৪৮৮০)

গীবতের পরিণতি প্রসঙ্গে হাদীসে কুদসীতে এসেছে :  নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন বান্দাকে তার আমলনামা খোলা অবস্থায় দেয়া হবে। সে তাতে এমন কতগুলো নেকী দেখবে যা সে আমল করেনি। সে বলবে : হে প্রভু! আমি এই নেকীগুলো অর্জন করিনি। তিনি বলবেন : লোকেরা তোমার নিন্দা করেছিল, তারই বদলে আমি এগুলো লিপিবদ্ধ করেছি। অপর এক বান্দার সামনে কিয়ামতের দিন তার আমলনামা খুলে দেয়া হবে। সে বলবে : হে প্রভু! আমি কি অমুক দিন অমুক পুণ্য করিনি? তখন তাকে বলা হবে, তুমি লোকদের নিন্দা করতে। ফলে সেসব পুণ্য তোমার আমলনামা হতে মুছে ফেলা হয়েছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেহ যদি তার গীবত করে,আর সে মনে মনে খুশি হয় যে আমার আমল নামায় তার নেক আসবে,আর আমার গুনাহ তার আমল নামায় যাবে।
তাহলে এমনটি মনে করে খুশি হওয়া গুনাহ নয়।

গীবত শ্রবন সম্পর্কে জানুনঃ 

আরো জানুনঃ 
,
(০২)
কোনো মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা,সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ। 

হযরত আবু আইয়ুব রাযি থেকে বর্ণিত

 وعَنْ أَبِي أَيُّوبَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، يَلْتَقِيَانِ, فَيُعْرِضُ هَذَا، ويُعْرِضُ هَذَا، وخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
সারমর্ম-কোনো মুসলমানের জন্য তিনদিনের বেশী সময় ধরে কথা না বলা জায়েয নয়।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا، وَلَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে ঘৃণা করো না, পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের গোয়েন্দাগিরী করো নাম বরং আল্লাহর বান্দারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। যে কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা জায়িয নয়।
(আবু দাউদ ৪৯১১)

বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই ব্যাক্তির সাথে কথা বন্ধ করা,সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ হবেনা।

হ্যা যদি বেশি সমস্যা হয়,তাহলে কিছুদিন কথার আদান প্রদান না করা যেতে পারে,তবে সালামের আদান প্রদান অবশ্যই করতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...