বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এখানে আপনার স্যার আপনাকে একটি কাজের আদেশ করেছিলেন,আর আপনি সেই কাজ করবেন মর্মে স্যারকে বলেছিলেন।
এটি ওয়াদার অন্তর্ভুক্ত নয়।
এখানে কোনো ওয়াদা ভঙ্গ হয়নি।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবদুল্লাহ ইবনে হাসমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবুওয়তের আগে আমি রসুল (সা.) থেকে কিছু দ্রব্য ক্রয় করি এবং বলি আপনি এখানে দাঁড়ান আমি টাকা নিয়ে আসছি। বাড়িতে গিয়ে আমি রসুল (সা.)-এর কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর মনে হওয়া মাত্রই ওই স্থানে গিয়ে দেখি হুজুর (সা.) দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আমাকে দেখে শুধু বললেন, তুমি আমাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেললে। আমি তিন দিন পর্যন্ত তোমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছি।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৪৯৯৬)।
আরেক হাদীস শরীফে এসেছে
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( آية المنافق ثلاث إذا حدث كذب وإذا وعد أخلف وإذا اؤتمن خان
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যথা- যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা বলে, আর যখন ওয়াদা করে তখন তা পূর্ণ করে না, আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, তখন সে তা আত্মসাৎ করে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৫৩৬, ৩৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১০৭}
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ওয়াদা ভঙ্গ কি বান্দার হক।
আল্লাহর কাছেই ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বান্দার কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে।