আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
(১) কাবিন নামায় তালাকের অধিকারের ব্যাপারে আমি জানতাম না। কাজী খালি খাতায় সিগনেচার নিয়ে পরে হ্যা লিখছে। পরে জানতে পেরে এক শায়েখের কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বলছে হ্যা তালাকের অধিকার হয় এভাবে। আমি ভয় পাই প্রথমে যেহেতু আর কোন শায়েখ এর ফোন নাম্বার ছিল না তাই তার মত শুনে ভয় পাই। কিন্তু মুখে কখনো কিছু বলি নাই।  কিন্তু আমার স্বামী এই মাসআলা মানে না পরে আরেকজন  শায়েখ বলে স্বামী কে না জানিয়ে দিলে অধিকার প্রাপ্ত হয় না স্ত্রী পরে স্বামী কে এ কথা জিঙেস করলে স্ত্রী কে বলছে স্বামী যে অধিকারের ব্যাপারে জানতো না। আমি সেই শায়েখের মত মানি যে আমার কোন অধিকার নেই।  পরে আবার স্বামী কে জিজ্ঞেস করলে বলছে হ্যা জানতো তার আগেও বিয়ে হইছে কিন্তু সে বলছে আমি তো তোমাকে অধিকার দিবো না কাজী খালি খাতায় সিগনেচার নিছে সেতো আমাকে জিজ্ঞেস করে নাই এমনকি আমাকে বলেও নাই এমন জায়গায় হ্যা লিখছে। তখন আমি বলছি কাজীকে মানা করেন নাই কেন? সে বলছে তোমরা কাজী আনছো কাজী তো আমাকে জিজ্ঞেস করবে আমি তো অধিকার দিবো না। আসলে আমি ও জানতাম না এসব কাজী পড়ে শোনায় নাই। আমি তাকে আহলে হক ওয়েব সাইটে এই ব্যাপারে প্রশ্ন গুলো দেখাইছিলাম। সে বলছে কাজী জানায় নাই আমি তোমাকে কোন অধিকার দেয়ার নিয়ত করি নাই। অধিকার নেই তোমার। পরে সে অনেক বার বলছে আমার কোন অধিকার নেই। তারপর এক বন্ধু র কাবিন নামা দেখে এসে বলে আসলে আমি জানতামই না এই অধিকারের ব্যাপারে হয়তো সে আমার কথা বা ঐ ওয়েব সাইটে লেখা বুঝতে পারে নাই।  আসলে আমি তো কোন তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয় নাই তাই তো শায়েখ?
(২) উপরোক্ত  ঘটনার পরে বা আগে আমার মনে হয় আমি আম্মু কে বলছিলাম হয়তো আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো/ দেই কিন্তু আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত আমি এমনটা বলছিলাম  কি না শিওর না। আমার মা বলছে আমি এমন কিছু বলি নাই। আমার মায়ের ওয়াসওয়াসা নেই।  আমার ও মনে হয় বলি নাই। নিবো / নিলাম তো বলিই নাই। এই কথাও বলি নাই বলে বেশি মনে হয়।  উপরোক্ত ঘটনার আগে বা পরে ডিভোর্স নিলাম /দিলাম/দিবো/দেই/নেই যাই বলি কোন তালাক হবে না তাই তো শায়েখ কারণ আমার কোন অধিকার নেই? মা যে বলছে বলি নাই তার কথা বিশ্বাস করা যাবে?
(৩) আমার মা আমাকে মনে হয় বলছে তোমাকে  পাগল বলছিল বলে তুমি একজন( বিয়ের আগে একজনকে পছন্দ করতাম)   জন্যই আগে একজনকে ছাড়ছো। মানে আমার স্বামী একবার আমাকে পাগল বলছিল এটাই বলছিলাম তখন আমার মা এমন কথা বলছিল বলে মনে হয় কিন্তু আমি শিওর না ওয়াসওয়াসা মনে হয় এটা। আমি অনেক রাগ করছিলাম বলছিলাম খবরদার এসব কথা বলবা না এই কথার জবাবে বলছিলাম সব ওয়াসওয়াসা মনে হয়। এমন মায়ে র কথায় বা আমার কথায় সংসারে কোন তালাক বা সম্যসা হবে কি?

৪) https://ifatwa.info/62076/ এই লিংকের ৩ নং প্রশ্ন যখন করছিলাম তখন ও ওয়াসওয়াসা থেকে করেছিলাম।  তখন ডিটেইলস সব মনে ছিল না এখন আবার ডিটেইলস এ প্রশ্ন করছি। আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত আমি শিওর ডিভোর্স দিবো কোন কিছু বলি নাই। এখানের সব ডিটেইলস সহ এই লিংকের ৩ নং প্রশ্নের উত্তরে তো আমি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয় নি সংসারে কোন সম্যসা নেই তাই তো শায়েখ?

৫) মানুষের নামে গিবত করছি তাদের জন্য প্রতি শুক্রবার ২ টাকা মসজিদে দেয়ার নিয়ত করলে ক্ষমা পেতে পারি আল্লাহর কাছে?  আমি খুব অনুশুচনায় ভুগি আসলে তারা আমাকে কস্ট দিয়েছে। গিবত থেকে কিভাবে ক্ষমা পাবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হননি।

(০২)
উপরোক্ত ঘটনার আগে বা পরে ডিভোর্স নিলাম /দিলাম/দিবো/দেই/নেই যাই বলেননা কোন তালাক হবে না।

কারন আপনার কোন তালাকের অধিকার নেই।
আপনার মা যে বলছে বলি নাই তার কথা বিশ্বাস করা যাবে।

(০৩)
আপনার মায়ের কথায় বা আপনার কথায় সংসারে কোন তালাক বা সমস্যা হবেনা।

(০৪)
হ্যাঁ, আপনি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হননি, সংসারেও কোন সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
সেই মানুষদের কাছে গিয়ে আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
সম্ভব না হলে তাদের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...