আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
edited by

১. আমি একটি হোস্টেলে থাকি, যা দুজন শিক্ষক এর অধীনে থাকলেও তারা সেখানে থাকপন না, সামগ্রিক বিষয়াবলী প্রথম ধাপে ফোর্থ ইয়ারের স্টুডেন্ট হিসাবে আমাদের উপর এসে পরে।

ইদানিং লক্ষ্য করছি, একটি রুমে কিছু হিন্দু ছাত্র একত্রিত হয়ে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করে, তাদের ধর্মীয় ছাত্রদের কাছে তাদের ধর্মীয় প্রচারণা করে, এখন আমরা কি করতে পারি? তারা চেষ্টা করছে স্যারের দ্বারা একটি মন্দির বানাবে হোস্টেলে, একটি রুমকে ঘিরে টুকটাক আয়োজন ও করে,ওই রুমের সব তাদের ধর্মের অনুসারী হওয়ায়।।। এদের এই কার্যক্রম নষ্ট করার জন্য কিছু করবো?? না তাদেরকে তাদেট মতো চলতে দিবো?কোনটা করলে আমরা গুনাহ থেকে বেচে থাকতে পারবো.

২. কেও যদি সৃষ্টিকর্তার বিশালতা, কিংবা তাকে নিয়ে আমাদের অতিরিক্ত ভাবনা উচিত না এটা বুঝানের জন্য বলে, "যেখানে সৃষ্টি শেষ,সেখান থেকে স্রষ্টার শুরু" এতে কি ইমানে কোনো সমস্যা হবে?

৩. আজকে আমার একটা স্টুডেন্ট এর ইংরেজি লেখা সঠিক না হওয়ায় রাগে তার খাতা ছুড়ে ফেলে দেই, পরে খেয়াল হয় তার খাতায়, ইসলামি কিছু লেখা, থাকবে কি না, যেহেতু সে মাদরাসায় পরে, এর ফলে কষ্ট লাগে আমার। পরে দেখি, আল্লাহও ইসলাম সম্ভকে কিছু লেখা আছে,এই খাতা ছুড়ে ফেলায় কি গুনাহ হবে? বা  ইমানে সমস্যা হবে?

৪.যে বেঞ্চে, হাদিস ও কোরআন এর আয়াত সম্বলিত বই রাখা সেখানে বসলে কি গুনাহ হবে?

৫. দাদি - নানি এদের ক্ষেত্রে কি হুরমত এ মুসাহারাত হতে পারে?

৬. ছাত্রদের কেও/ চলাফেরায় সাধারন মানুষের কেও যদি কুফরী কথা বলে, তা কুফরী কও না তা শিওর জানি ও না,এমতাবস্থায় , আমি শিক্ষক হয়ে যদি তাদের কিছু না বলি, আমারো কি কুফর হবে? আর নিশ্চিত কুফরী কথা বললেও, জেনেও যদি কিছু না বলি তবে কি কুফর হবে?

( এমন অবস্থা যে বললে কি ভাববে না ভাববে সেই কারণে যদি না বলে)

৭. তোষক নাপাক হলে, তার উপর মোবাইল রেখে চালানের সময়, স্কিনে কোরআনের আয়াত আসলে বা হাদীস আসলে কি গুনহ হবে? বা ইমানে সমস্যা হবে?

৮.একটি স্বপ্নের ব্যাখাঃঃ

আমি গত রাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি পরনের শার্ট খুলে রোদে রাখছি,এমন সময় দেখি, শার্টটিতে সাদা সাদা অনেক পোকা কিলবিল করছে। তখন দেখি ওই সব পোকা আমার শরীরের কয়েক জায়গায় বাসা করে ফেলেছে,অনেক গুলো পোকা,ছোট ছোট সাদা সাদা কিরা পোকা। স্বপ্নেই ভাবছিলাম ধোয়ে ফেলতে হবে।তখন ই ভেঙ্গে যায়।পরে  ইস্তেগফার পড়ি... 

সময়ঃ শেষ রাতের দিকে.. (ডান না কি বাম কাদে মনে নাই) 

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,

ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)

যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা তাদের কার্যক্রম নষ্ট করার জন্য কিছু করবেননা।
বরং তাদেরকে তাদের মতো চলতে দিবেন।
তবে বিশৃংখলা যেনো না হয়,মুসলিমদের স্টুডেন্টদের কাজে যেনো বাধা না আসে,মুসলিমদের স্টুডেন্টদের ইবাদত,কাজ ইত্যাদিতে যেনো বিঘ্নতা সৃষ্টি না হয়,সেদিকে সজাগ থাকবেন।

(০২)
প্রশ্নের বিররন মতে এতে ইমানে কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে ঢালাও ভাবে এটি বলা যাবেনা।

(০৩)
এই খাতা ছুড়ে ফেলায় গুনাহ হবে।
আপনাকে তওবা করতে হবে।
তবে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
এটি আদবের খেলাফ হবে।
তাই উক্ত বেঞ্চে বসবেননা।

(০৫)
না,এদের ক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা। 

(০৬)
এতে আপনার কুফরি হবেনা।
তবে শক্তি ও সক্ষমতা থাকার দরুন এক্ষেত্রে মৌখিক ভাবে বা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের আওতায় থেকে যথাসম্ভব শাসনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবী।

(০৭)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে গুনাহ হবে।
তবে এখানে যেহেতু কুরআনের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উদ্দেশ্য নয়,তাই এক্ষেত্রে ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

এক্ষেত্রে তার উপর কোনো কাপড় বিছিয়ে নিয়ে মোবাইল রেখে কুরআন পড়তে পারবেন।

(০৮)
এক্ষেত্রে ব্যখ্যা হলো, মন্দ লোক আপনার সাথী হতে পারে।
তাই মন্দ লোকদের সাথী বানানো থেকে হেফাজতে থাকার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...