বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা তাদের কার্যক্রম নষ্ট করার জন্য কিছু করবেননা।
বরং তাদেরকে তাদের মতো চলতে দিবেন।
তবে বিশৃংখলা যেনো না হয়,মুসলিমদের স্টুডেন্টদের কাজে যেনো বাধা না আসে,মুসলিমদের স্টুডেন্টদের ইবাদত,কাজ ইত্যাদিতে যেনো বিঘ্নতা সৃষ্টি না হয়,সেদিকে সজাগ থাকবেন।
(০২)
প্রশ্নের বিররন মতে এতে ইমানে কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে ঢালাও ভাবে এটি বলা যাবেনা।
(০৩)
এই খাতা ছুড়ে ফেলায় গুনাহ হবে।
আপনাকে তওবা করতে হবে।
তবে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
(০৪)
এটি আদবের খেলাফ হবে।
তাই উক্ত বেঞ্চে বসবেননা।
(০৫)
না,এদের ক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা।
(০৬)
এতে আপনার কুফরি হবেনা।
তবে শক্তি ও সক্ষমতা থাকার দরুন এক্ষেত্রে মৌখিক ভাবে বা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের আওতায় থেকে যথাসম্ভব শাসনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবী।
(০৭)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে গুনাহ হবে।
তবে এখানে যেহেতু কুরআনের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উদ্দেশ্য নয়,তাই এক্ষেত্রে ঈমানে সমস্যা হবেনা।
এক্ষেত্রে তার উপর কোনো কাপড় বিছিয়ে নিয়ে মোবাইল রেখে কুরআন পড়তে পারবেন।
(০৮)
এক্ষেত্রে ব্যখ্যা হলো, মন্দ লোক আপনার সাথী হতে পারে।
তাই মন্দ লোকদের সাথী বানানো থেকে হেফাজতে থাকার পরামর্শ থাকবে।