আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (58 points)
আচ্ছালামু আলাইকুম উস্তায,

আপনজন কেউ দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করলো, যেমন পর্দা নিয়ে কটাক্ষ, দাড়ি নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এতে তো ঈমান ভেঙে যায়। তাহলে ঐ মানুষকে বুঝানোর পর, ভুল বুঝতে পারলো। এখন কি শুধু তওবা যথেষ্ঠ নাকি কালিমা শাহাদাত পাঠ করে ঈমান নবায়ন করতে হবে।
এখানে আনুষঙ্গিক আরো প্রশ্ন এসে যায়,
১. কেউ অজ্ঞাত ছিল দ্বীনের এই মৌলিক বিষয়ের ব্যাপারে, তাহলে কি তাকে মাজুর ধরা হবে? মানে ঈমান ভাঙ্গেনি কিন্তু কবিরা গুনাহ হয়েছে এমন। নাকি মৌলিক বিষয় না জানার জন্য আবার গুনাহ হবে এবং ঈমান ভঙ্গ হবে।
২. যদি ঈমান ভেঙে যায় তাহলে তো সে কাফির হয়ে গেলো, তাহলে বিবাহিত হলে বিয়েও ত অটো ভেঙে গেছে, এখন তাহলে এটার সমাধান কি?

৩. বিগত যদি হজ যাকাত আদায় করে তাকে তাহলে তা কি আবার আদায় করা লাগবে।

৪. কেউ মুরতাদ থেকে মুসলিম হলে তার পূর্বের সকল গুনাহ কী মাফ হয়ে যায়, যেমনটা জন্মগত কাফের থেকে মুসলিম হলে হয়।

৫. (২ ও ৩) এরূপ আর কি কি মাসয়ালা আছে যা মুরতাদ থেকে মুসলিম হলে আবার করতে হয়??

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কেউ দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করলো, যেমন পর্দা নিয়ে কটাক্ষ,তাহলে তাকে পুনরায় ঈমান নবায়ন করতে হবে।
কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে, তওবা করতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

(০১)
এক্ষেত্রেও তার ঈমান চলে যাবে।

(০২)
তাকে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

(০৩)
আগের হজ্জ বাতিল হবে।
তার উপর এখন বা পরবর্তীতে হজ্জ ফরজ হয়ে গেলে আবারো হজ্জ করতে হবে।

(০৪)
কেউ মুরতাদ থেকে মুসলিম হলে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

তবে কেহ এই হীন উদ্দেশ্যে মুরতাদ হয়ে ইসলাম গ্রহন করলে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে তার মারাত্মক অপরাধ হবে,তার আগের গুনাহ মাফ হবেনা।

(০৫)
বিবাহ আর হজ্জের মাসয়ালাই রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
edited by
"কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে, তওবা করতে হবে।" মানে  শুধু তওবা করলে ই হবে?  অথবা কেউ যদি মনে মনে বিগত সমস্ত ইমান ভঙ্গ কারী গুনাহ সমূহের জন্য নিজে নিজে ই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে  তওবা করে  পূর্ণাঙ্গ দ্বীন পালন করা শুরু করে,  কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভাবে কালিমা পড়ে নাই, তবে নামাযে তাশাহুদে, ওযুর পরে বা অন্য কোনো উপলক্ষে কালিমা শাহাদাত পাঠ করেছে,  সে ক্ষেত্রে কি ইমান নবায়ন হবে? 
by (566,790 points)
হ্যাঁ,সে যেভাবেই হোক কালেমায়ে শাহাদাত যেহেতু পাঠ করেছে,তাই ঈমান নবায়ন হবে।
by (27 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...