শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ
‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)।
فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ
‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)।
এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে।
وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করলো, যেমন পর্দা নিয়ে কটাক্ষ,তাহলে তাকে পুনরায় ঈমান নবায়ন করতে হবে।
কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে, তওবা করতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।
(০১)
এক্ষেত্রেও তার ঈমান চলে যাবে।
(০২)
তাকে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
(০৩)
আগের হজ্জ বাতিল হবে।
তার উপর এখন বা পরবর্তীতে হজ্জ ফরজ হয়ে গেলে আবারো হজ্জ করতে হবে।
(০৪)
কেউ মুরতাদ থেকে মুসলিম হলে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
তবে কেহ এই হীন উদ্দেশ্যে মুরতাদ হয়ে ইসলাম গ্রহন করলে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে তার মারাত্মক অপরাধ হবে,তার আগের গুনাহ মাফ হবেনা।