ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহর অকাট্য বিধানকে পরিবর্তন করা যেমন,
হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ
তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)
قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ
বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)
قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ
নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্পষ্টত কুরআনের উল্টো কেউ কোনো মনোভাব রাখলে সে অবশ্যই কাফির বলে সাব্যস্ত হবে।তবে কুরআনের আয়াতের কোনো অপব্যখ্যায় লিপ্ত হলে সে কাফির হবে না।
সুতরাং
যদি কেউ মুর্তিকে মনেপ্রাণে ভালবেসে ভাস্কর্যর নামে মুর্তির পক্ষে থাকে,এবং যে সব মুসলিম ভাই/বোন ভাস্কর্যের বিপক্ষে তাদেরকে জঙ্গি রাজাকার বলে সম্বোধন করে,এবং তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে,তাহলে ঐ ব্যক্তি কর্তৃক কুরআনের অকাট্য বিধানকে অস্বীকার করার দরুণ সে কাফির,মুরতাদ,ফাসিক বলেই বিবেচিত হবে।তবে যদি সরাসরি মুর্তির পক্ষে কথা বলা না হয়,বরং তাবীলের আশ্রয় গ্রহণ করা হয়,তাহলে সে কাফির হবে না ঠিক।কিন্তু সে গোমরাহ অবশ্যই হবে।