আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম।

কেহ যদি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট কোনো হালাল বস্তুকে হারাম বলেসেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।”

(১) এখন কেউ যদি কোনো হারামকে মন থেকে হারাম বলেই মেনে থাকে। কিন্তু অতীতে সেই হারাম কাজ করে উপকৃত হওয়ার কারণে বর্তমানে তা মনে পড়লে আনন্দিত হয় বা এমন ধারণা রাখে যে ওই হারাম কাজটি না করলে আজকের এই ভালো অবস্থানে আসা হতো না, তাহলে এমন ধারণা রাখার কারণে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

(২) যেমন: কেউ যদি মন থেকে সুদ খাওয়া হারাম এটা বিশ্বাস করে থাকে কিন্তু অতীতের সুদ খাওয়ার জন্য যদি সে আনন্দিত থাকে এবং ধারণা রাখে যে অতীতে সুদ না খেলে এত বড়লোক হওয়া যেতো না, তাহলে কি এই ধারণার জন্য সে কাফের হয়ে যাবে?

(৩) মাঝে মাঝে অতীতে করা কিছু হারাম কাজের কথা মনে করে আনন্দিত হতে না চাইলেও ওয়াসওয়াসাজনিত কারণে সেগুলো বারবার মনে পড়ে যায় এবং তখন ঈমান নিয়ে সংশয়ে ভুগি। ওই হারাম কাজটি না করলে এত সফল হতে পারতাম না বা ওই হারাম কাজটি না করলে অমুক কাজটা করতে পারতাম না, এমন সব ধারণা মাথায় চলে আসে। যদিও আমি সব হারামকে মন থেকে হারাম বলেই গণ্য করে থাকি। কিন্তু ওয়াসওয়সাজনিত কারণে এইসব ধারণা মাথায় আসলে কি আমি কাফের হয়ে যাব?

(৪) যেমন: পরীক্ষায় অন্যকে দেখে লেখা বা নকল করা হারাম এটা মন থেকে বিশ্বাস করার পরও মাঝে মাঝে মনে এই ধারণা চলে আসে যে--- অতীতে অমুক পরীক্ষায় অন্যকে না দেখে লিখলে ভালো ফলাফল করতে পারতাম না বা আজকের এই ভালো জায়গায় পড়তে পারতাম না, তাহলে এমন ধারণা রাখার কারণে কি আমি কাফের হয়ে যাবো? কারণসহ যদি বলতেন।

জাযাকাল্লাহু খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হালাল কে হারাম সাব্যস্ত করা এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কেউ হারাম কে হালাল এবং হালালকে হারাম সাব্যস্ত করতে পারবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ

তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।(সূরা নাহল-১১৬)

قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا أَنزَلَ اللّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلاَلاً قُلْ آللّهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللّهِ تَفْتَرُونَ

বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?(সূরা ইউনুস-৫৯)

قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُواْ أَوْلاَدَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُواْ مَا رَزَقَهُمُ اللّهُ افْتِرَاء عَلَى اللّهِ قَدْ ضَلُّواْ وَمَا كَانُواْ مُهْتَدِينَ

নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।(সূরা আন'আম-১৪০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এমন ধারণা রাখার কারনে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০২)
এই ধারণার জন্য সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৩)
এই সব ধারণা মাথায় আসলে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০৪)
এমন ধারণা রাখার কারনে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

কারনে এখানে অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো হারামকে হালাল বলা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...