আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/293
★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
(০১)
পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস ছাড়া কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, আপনার নাপাক কাপড় দরজা যেখানে আটকানো থাকে সেখানে লেগেছিল। যেই স্থানে লেগেছিল সেই স্থানে বীর্য ছিল কি না আপনি নিশ্চিত না।
এখন দরজার সেই স্থানে বীর্য লেগে থাকলে,বীর্যের কোনো দাগ পরিলক্ষিত হলে,দরজা নাপাক হবে।
নতুবা শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে দরজাকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি দরজাকে পাক ধরে নিবেন।
(০৩)
কাঠের চেয়ারে যদি কোন নাপাকি লাগে তাহলে ভেজা কাপড় দিয়ে ৩ বার মুছে ফেললে উক্ত কাঠ পাক-পবিত্র হয়ে যাবে।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে এখনো উক্ত চেয়ার পাক হয়নি।
পবিত্র একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে আরো একবার সেই চেয়ার মুছতে হবে।
তারপর সেটি পাক হবে।
(০৪)
এখন যদি আপনি সন্দেহের স্থানগুলো নাপাক মনে করে পাক করেন, তাহলে ঈমান চলে যাবেনা।
(০৫)
সেই দোকানের আসবাব পত্র নাপাক নয়।
সেই বালটিতে হাত লাগার সময় আপনার হাত ভেজা থাকলে বালতির উক্ত স্থান নাপাক হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে বালতির পানিতে নাপাক হাত লাগলে বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে।