আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
What is the law for heir of a person who worked in a bank? I  mean Miras ? Is it legal for the children to inheritage the money or wealth of their parents which their parents earned from banking system?
ব্যাঙ্কে চাকরিরত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীর জন্য আইন কি? মানে মিরাস? সন্তানদের জন্য কি তাদের পিতামাতার অর্থ বা সম্পদ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বৈধ যা তাদের পিতামাতারা ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে উপার্জন করেছেন?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/50420/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা,তাতে সহযোগিতা করা সবই হারাম।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। 

ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-

১-মূলধন।
২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা।
৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী।
৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।

এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
,
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
,
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}
,
ব্যাংকে চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হারাম সম্পদ অর্জনকারীর সম্পদের কেউ ওয়ারিশ হয়না।
তার পুরো সম্পদ ফকির মিসকিনকে সদকাহ করা  দিতে হবে।

আর যদি মাইয়্যিতের পুরো সম্পদ হারাম না হয়, বরং হালাল হারাম মিশ্রিত, সেক্ষেত্রে তার ওয়ারিশগন তার সম্পদের অংশ পাবে।
তবে হারাম অংশটুকু গ্রহন না করে তাহা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।

مات وکسبہ حرام فالمیراث حلال، ثم رمز وقال: لا نأخذ بہذہ الروایة، وہو حرام مطلقا علی الورثة فتنبہ. اہ. ح، ومفادہ الحرمة وإن لم یعلم أربابہ وینبغی تقییدہ بما إذا کان عین الحرام لیوافق ما نقلناہ، إذ لو اختلط بحیث لا یتمیز یملکہ ملکا خبیثا، لکن لا یحل لہ التصرف فیہ ما لم یؤد بدلہ کما حققناہ قبیل باب زکاة المال فتأمل.(رد المحتار:7/ ،باب البیع الفاسد)
সারমর্মঃ-
যদি উত্তরাধিকার সম্পত্তির পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে তাহা গ্রহন করা যাবেনা।
আর যদি হালাল হারাম মিশ্রিত, সেক্ষেত্রে তাহা পৃথক করা না গেলে হারাম অংশটুকুর বদলা আদায় (সদকাহ) করে দিয়ে সেই সম্পদ গ্রহন করবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির রেখে যাওয়া সম্পদের মধ্যে পুরাটাই যদি ব্যাংকে চাকুরীর বেতন থেকে হয়,তার সম্পদের মধ্যে যদি কোনো হালাল অংশই না থাকে,সেক্ষেত্রে কেউ তার উত্তরাধিকরী হিসেবে  সম্পদ পাবেনা।
পুরাটাই সদকাহ করে দিতে হবে। 

আর যদি ব্যংকে চাকুরীর টাকা আর অন্য হালাল সম্পদ মিশ্রিত হয়,সেক্ষেত্রে হারাম অংশটুকু গ্রহন না করে তাহা বা তার সমপরিমাণ মূল্য ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...