আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
১. আমি একটি মাদরাসায় পড়াই, সেখান থেকে সবাই কে জুব্বা তৈরীর জন্য হাদিয়া দেওয়া হবে, হাদিয়া নিলে নিয়মিত সেই জুব্বা পরে মাদরাসায় যেতে হবে,যারা আলেম নয় তাদের জন্য মাদরাসার এই আইন ঐচ্ছিক, কেও চাইলে হাদিয়া নিয়ে জুব্বা কিনে পরতে পারে। আমি এই বিষয়ে আমার স্ত্রী কে বললে, সে বলে" প্লিজ, প্লিজ প্লিজ তুমি এইটা ইটা নিয়ো না"..., (সে চায় না এভাবে জুব্বা পড়ি সব সময়) এর ফলে কি তার কুফর হবে?

২.*-২. কেও যদি নিজের বউ এর পুরাতন ছবি (বিবাহের আগের) দেখিয়ে বলে এই মেয়ে আমার কিছু লাগে না/বা এই মেয়ে আমার বউ না,তবে কি বিবাহে সমস্যা হয়?

৩. কেও যদি কোনো কাজের দরুন বিবাহ লুকানোর জন্য, সরকারি কাগজে, ম্যারেজ/সিংগেল অপশনের মাঝে সিংগেল লিখে দেয় এতে কি বিবাহে সমস্যা হয়?

৪. ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখার পরে কারো মনে হঠাৎ চলে আসে, এই ভিডিও দেখলে তার ইমান যালে যাবে। যদিও সে জানতো মনে মনে এসবে কিছু হবে না, তাও মনে মনে খুঁতখুঁত স্বভাবের জন্য ভিডিও অন করে নি, কিন্তু পরবর্তী তে অজান্তে হাত লেগে এই ভিডিও ওন হয়ে যায়, এতে কি তার ইমান চলে যাবে?

৫.কেও যদি তার এলাকা/পরিচিত ছোট ভাইকে কোনো কুফরি কিছু করতে বা বলতে দেখে যদি তার মনে মনে এটা আসে," সে এসব করুক আমার তাতে কি" এবং সে কি ভাববে না ভাববে এটা ভেবে যদি কলিমা শাহাদাত পাঠ না করতে বলে,এতে কি সেই ব্যাক্তির ও কুফর হয়ে যাবে?

৬. কেও যদি তার একটা ভবিষ্যৎ কাজ নিয়ে ভাবতে ভাবতে, হঠাৎ তার মনে চলে আসে, ভাগ্যের সাথে এই কাজের সম্পর্ক নাই,পরে তার মনে হয় এটা কি ভাবলো,এটা তো ভুল।এবং কলিমা পাঠ করে এতে কি কুফর হবে?

৭.রাকাত নফল নামাজ হয় না,এটা জানার পরেও। কেও যদি মনে মনে ভাবে " ৩ রাকাতের ও নফল নামাজ হবে" তাইলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৮.নাপাক তোষকে শুয়ে এবং নাপাক লেপ গায়ে থাকা অবস্থায় কেও যদি, কলিমা শাহাদাত পাঠ করে এতে কি তার গুনাহ হবে বা ইমানে সমস্যা হবে?

৯. কোনো  হিন্দু যদি মন্দিরের ঠিকানা জানতে চায় তা দেখিয়ে দেওয়া কি কুফরি হবে?

১০. মাদরাসায়, কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে দৈনিক কার্যক্রম শুরু হয় সেই এসেম্বলিতে আবার জাতীয় সংগিত পাঠ হয়,পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সালাম ও দেপয়া হয়, তা কি কুফরী হবে?

১১. কদিন আগে আমার বন্ধুরা মজা করে বলে " মানুষ কোরবানী দেওয়া হলে এর অনেক দাম হতো" (এমনই একটা কথা বলে) শুনে আমিয়ো বলে দেই, " হ্যা মানুষ কোরবানী হলে এর অনেক ডিমান্ড থাকতো। (আসল ঘটনা মনে নাই, কদিন আগে ঘটেছিলো, তখন পরে জেনে নিবো ভেবে কাওকে বলি নি,এখন ভুলে গেছি)

এসব কথার ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এর ফলে তার কুফরি হবেনা। 

(০২)
এতে তার বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এতে তার বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৫)
এতে সেই ব্যাক্তিরও কুফর হয়ে যাবেনা।

(০৬)
এতে কুফর হবেনা।

(০৭)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৮)
এতে তার গুনাহ হবেনা,ইমানে সমস্যা হবেনা।

(০৯)
কোনো হিন্দু যদি মন্দিরের ঠিকানা জানতে চায়, তা দেখিয়ে দেওয়া কুফরি নয়।

(১০)
প্রশ্নের বিবরণ এতে কুফরি হয়নি।

(১১)
এসব কথার ফলে ঈমানে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...