জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ
আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)
মহিলাদের শরীরের অতিরিক্ত লোম ও চুল উপড়ে ফেলা জায়েজ আছে। যেমন দাড়ি মোচ, লোম ইত্যাদি।
(قوله والنامصة إلخ) ذكره في الاختيار أيضا وفي المغرب.
النمص: نتف الشعر ومنه المنماص المنقاش اهـ ولعله محمول على ما إذا فعلته لتتزين للأجانب، وإلا فلو كان في وجهها شعر ينفر زوجها عنها بسببه، ففي تحريم إزالته بعد، لأن الزينة للنساء مطلوبة للتحسين، إلا أن يحمل على ما لا ضرورة إليه لما في نتفه بالمنماص من الإيذاء. وفي تبيين المحارم إزالة الشعر من الوجه حرام إلا إذا نبت للمرأة لحية أو شوارب فلا تحرم إزالته بل تستحب المخنث (رد المحتار على الدر المختارن كتاب الحظر والاباحة، فصل فى النظر والمس-6/373)
যার সারমর্ম হলো মহিলার চেহারায় যদি চুল হয়, স্বামীর যদি এতে কষ্ট হয়, তাহলে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সেই চুল উপরে ফেলা,জায়েজ আছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়েদের ঠোঁটের উপরের লোম কেটে ফেলা বা অন্য কোনো উপায়ে পরিস্কার করে ফেলা জায়েজ আছে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ