আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,

১. কেউ যদি তার স্ত্রীকে  তালাক সম্পর্কে বোঝানোর জন্য , যদি সাধারণ ভাবে তালাক উচ্চরণ করে , তাহলে কি তালাক হবে??
আমার  স্ত্রী জানে আমার ৩ বছরে এর ওয়াসওয়াসা রুগী তাই আমার স্ত্রী আমাকে বোঝানোর ক্ষেত্রে বলেছিল তুমি যদি, তালাক, তালাক, তালাক বললে ও কিছু হবে না কারণ তুমি ওয়াসওয়াসা রুগী।

আমার ও স্ত্রী এর সন্দেহ দুর করার জন্য , কথপো কথন( আলোচনা) হচ্ছে দিয়ে , স্ত্রীকে বোঝানোর ক্ষেত্রে তালাক শব্দ টি ব্যাবহার করলে কি তালাক হয়ে যাবে?? এবং স্ত্রী বোঝাতে গিয়ে তালাক শব্দ ব্যাবহার করেছে এর জন্য কি তালাক হবে?
শুধু মাত্র বোঝানোর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়েছে।
২. কুফরী কথা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে নিজেদের বোঝার ক্ষেত্রে যদি এমন বলা হয়।

যেমন - কেউ যদি উচ্চরণ করে বলে আমি কাফের তাহলে সে কাফের,

বা কেউ যদি বলে আমি হিন্দু , তাহলে সে কাফের।
স্ত্রী ও আমি নিজে বুঝতে আমাদের মধ্যে এইরকম ভাবে আলোচনা করে সন্দেহ দুর করেছি ।

এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে ??

আমার শুধু উদহারন দিয়ে বুঝিয়েছি । খুব ভয় হচ্ছে আমরা তহ নিজেদের কে উদহারন দিয়ে বলিনি ।
এই উদহারন দেয়ার জন্য কি আমার ঈমান চলে গিয়েছে?
বা আমার স্ত্রীর ঈমান চলে গিয়েছে?

৩. হুজুর ওয়াসওয়াসা র জন্য মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে হিন্দু ধর্ম ভালো। এটা আমার মনে হচ্ছে । কিন্তূ আমি হিন্দু ধর্ম সাপোর্ট করিনা। আল্লাহ ও রাসূল আমার জীবনের সব কিছু ।

হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন  কিছুক্ষনের জন্য মনে হলে কি ঈমান চলে যাবে? আমি এইগুলো ভাবতেই চাইনা তাও ভাবনাতে একটু একটু চলে আসছে ভয়। আমি আমার মন কে শক্ত করে রাখছি। এমন হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে ?
হিন্দু ধর্ম হউক আর অন্য ধর্ম হউক। আমি মুসলিম আমার আল্লাহ ও রাসূল আছে এইটাই চরম বাস্তব। কিছু ওয়াসওয়াসা জন্য এমন মনে হলে ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনার স্ত্রীরও ঈমান চলে যায়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...