আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কুরআন নাযিলের পর কি আগের আসমানি কিতাবগুলোর বিধান রহিত হয়ে যায়নি?
রাসুল সাঃ নবুওয়তের পরও কি আহলে কিতাব ছিল? তাদের আহলে কিতাব কেন বলা হয়? তারা কি রাসুল সাঃ এর উপর ঈমান আনেনি?
বর্তমানেও কি আহলে কিতাব আছে? আমরা যদ্দুর জানি এখন তো তাওরাত,যাবুর নাই অর্থাৎ ওরা বিকৃত করে ফেলছে তাও আহলে কিতাব কেমনে থাকবে আর তারা রাসুল সাঃ এর উপর ঈমান কি আনেনা? আনলে তো তাদেরও কুরয়ান অনুসরণ করার কথা, তো কেন আহলে কিতাব বলা হবে তাদের?
আর আহলে কিতাবদের বিয়ে করা কি এখনো জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আহলে কিতাব অর্থ হল,কিতাব ওয়ালা।ইহুদী খৃষ্টানরা হল,আহলে কিতাব।অর্থাৎ তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিলো, তাদের নিকট নবী প্রেরণ করা হয়েছিল।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ تَعَالَوۡا اِلٰی کَلِمَۃٍ سَوَآءٍۢ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ اَلَّا نَعۡبُدَ اِلَّا اللّٰہَ وَ لَا نُشۡرِکَ بِہٖ شَیۡئًا وَّ لَا یَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُوۡلُوا اشۡہَدُوۡا بِاَنَّا مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۶۴﴾ 

আপনি বলুন, হে আহলে কিতাবগণ! এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত না করি, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করি এবং আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া একে অন্যকে রব হিসেবে গ্রহণ না করি। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তোমরা বল, তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম।
(সুরা আল ইমরান ৬৪)

قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لَسۡتُمۡ عَلٰی شَیۡءٍ حَتّٰی تُقِیۡمُوا التَّوۡرٰىۃَ وَ الۡاِنۡجِیۡلَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ لَیَزِیۡدَنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ مَّاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ طُغۡیَانًا وَّ کُفۡرًا ۚ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۶۸﴾ 

বলুন, হে কিতাবীরা! তাওরাত, ইঞ্জীল ও যা তোমাদের রব-এর কাছ থেকে তোমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তোমরা কোন ভিত্তির উপর নও। আর আপনার রব-এর কাছ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরীই বৃদ্ধি করবে। সুতরাং আপনি কাফের সম্প্রদায়ের জন্য আফসোস করবেন না।
(সুরা আল মায়েদা ৬৮)

یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ اَنۡتُمۡ تَشۡہَدُوۡنَ ﴿۷۰﴾ 

হে কিতাবীরা! তোমরা কেন আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী কর, যখন তোমরাই সাক্ষ্য বহন কর?
(সুরা আল ইমরান ৭০)

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ فِیۡ نَارِ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ شَرُّ الۡبَرِیَّۃِ ؕ﴿۶﴾ 

নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরি করেছে তারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে; তারাই সৃষ্টির অধ্যম।
(সুরা বাইয়্যিনাহ ০৬)

کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ تَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ ؕ وَ لَوۡ اٰمَنَ اَہۡلُ الۡکِتٰبِ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ؕ مِنۡہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ اَکۡثَرُہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۱۱۰﴾ 

তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে। আর আহলে কিতাবগণ যদি ঈমান আনতো তবে তা ছিল তাদের জন্য ভাল। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুমিন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফাসেক।
(সুরা আল ইমরান ১১০)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আহলে কিতাব অর্থ হল,কিতাব ওয়ালা।ইহুদী খৃষ্টানরা হল,আহলে কিতাব।অর্থাৎ তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিলো, তাদের নিকট নবী প্রেরণ করা হয়েছিল।

কুরআন নাযিলের পর আগের আসমানি কিতাবগুলোর বিধান রহিত হয়ে গিয়েছিলো।
তারা নিজেদের কিতাব বিকৃত করে ফেলেছিলো।
রাসুল সাঃ নবুওয়তের পরও আহলে কিতাব ছিল।

তবে ইহুদি খ্রিস্টানদের নাবীর উপর যেহেতু আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছিলো, তাই জাতি/গোষ্ঠী হিসেবে তাদেরকে আহলে কিতাব বলা হতো।

উপরোক্ত আয়াত গুলি থেকে বুঝা যায় যে তাদের অনেকে রাসুল সাঃ এর উপর ঈমান এনেছিলো।
আবার অনেকে ঈমান আনেনি।
বর্তমানেও আহলে কিতাব আছে।

আহলে কিতাবদের বিবাহ করার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...