ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মু্ক্তাদি যদি ইমাম সাহেবকে রুকুতে পায়, এবং তৎক্ষণাৎ নামাযে শরীক হয়, এক্ষেত্রে তাসবীহ এর সংখ্যার কোনো ধর্তব্য নাই। বরং এক মুহুর্তের জন্য জন্য ইমামকে পাওয়া গেলেও উক্ত রাকাতকে পাওয়া গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। এমনকি যদি ইমাম রুকুর অবস্থা থেকে উঠতে ছিলেন, এমতাবস্থায় ইমাম যদি রুকুর নিকটবর্তী থাকেন,এবং দাড়ানোর হালত থেকে দূরে থাকেন,তাহলে এমতাবস্থা্য় রুকুতে শরীক মুক্তাদিকে নামাযে শরীক ধরে নেয়া হবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২৯২) যেমন বর্ণিত রয়েছে-
او شرع في الانحطاط و شرع الامام في الرفع اعتد بها
(তাকরিরাতে রাফেয়ী-২/৯২)
"ومن أدرك إمامه راكعا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما
যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে,অতঃপর সে তাকবীর বলে দাড়াবে,এমতাস্থায় যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকর মাথাকে তুলে নেয়,অথবা মুক্তাদি তাকবীর বলে না দাড়ায় বরং রুকু যাওয়ার জন্য ঝুকে,এবং ইমাম সাহেব মুক্তাদির রু'কুর পূর্বেই মাথাকে তুলে নেন,তাহলে বুঝা যাবে যে,মুক্তাদি রু'কুই পায়নি।যেমন ইবনে উমর রাযির আসর থেকে বুঝা যায়।(মারিকল ফালাহ-১/৪৫৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) ইমাম সাহেবকে যদি রুকুতে আধা সেকেন্ডের মত পাওয়া যায়, তাহলে সে ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।
(২) রুকু থেকে সোজা হয়ে দাড়িয়ে তারপর তাকবীর বলা মাকরুহ।
(وُیُکرہ) أن یأتي بالأذکار المشروعة في الانتقالات بعد تمام الانتقال․․․ بأن یکبر للرکوع بعد الانتہاء إلی حد الرکوع ویقول سمع اللہ لمن حمدہ بعد تمام القیام (کبیري: ۳۵۷)
সুতরাং সোজা হয়ে দাড়ানোর পর কেউ শরীক হলে, তার রাকাত গণ্য হবে না।