ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় প্রসবের আগ মুহুর্তে যখন পানি ব্যতিত অন্য কিছু বের হয়, তখনও নামাজ আদায় ফরজ থাকে।সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নামায ফরয থাকে। নিয়মিত কিছু বের হলে, মা'যুরের বিধান প্রযোজ্য হবে। আর যখন প্রসব বেদনা আসে তখন সম্ভব হলে নামায পড়ে নিতে হবে, নতুবা পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে।
(২)
হেকায়তে ছাহাবা কিতাব ক্রয় করে নিতে পারেন।সেখানে সাহাবাদের অনেক জীবন ইতিহাস পাবেন।সেখান থেকে যেকোনো একটি নাম বাচাই করে নিতে পারবেন।
(৩)
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১
তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4429
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামী আপনার বাবার বাড়ী আসলে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। আপনার স্বামীকে বলবেন,ফোনে কথা বলতে।ইতিপূর্বে এজাতীয় আরো প্রশ্ন এসেছে।