আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আমি অবিবাহিত।আমার অনেক সময়ই মনে হয় বিয়ের পর এটা হবে ওইটা হবে(খারাপ কিছু)।আমি শুনেছি যে কোন নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তিকে নিয়ে খারাপ জল্পনা কল্পনা করা হারাম।কিন্তু আমার কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে নিয়ে ভাবনা আসেনা।আমার প্রশ্ন হলো এটাও কি হারাম

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺘﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺣﻈﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺰﻧﺎ ، ﺃﺩﺭﻙ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻣﺤﺎﻟﺔ ، ﻓﺰﻧﺎ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ، ﻭﺯﻧﺎ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﺍﻟﻤﻨﻄﻖ ، ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺗﻤﻨَّﻰ ﻭﺗﺸﺘﻬﻲ ، ﻭﺍﻟﻔﺮْﺝ ﻳﺼﺪﻕ ﺫﻟﻚ ﻛﻠﻪ ﻭﻳﻜﺬﺑﻪ "
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে) যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)


মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ
وفيه دلالة على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.
এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে, বিসর্জন দেয়না, তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত ৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/510

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার এই চিন্তা অনিচ্ছাকৃত, এবং ভয় থেকে এই চিন্তা আসছে, উপভোগ করার জন্য আসছে না, তাই এই চিন্তা এবং জল্পনা ও কল্পনা হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...