”কেহ যদি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট কোনো হালাল বস্তুকে হারাম বলে, সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।”এইটা পড়ার পর থেকে বিষয়টা নিয়ে আমি মাত্রাঅতিরিক্ত ওয়াসওয়াসায় ভুগি।
মাঝে মাঝে কোনো কাজ করার সময় কাজটি করব কি করব না দোটানায় ভুগতে থাকলে তখন শয়তান আমার ভিতর ওয়াসওয়াসা তৈরি করে। যদি সিদ্ধান্ত নিই যে কাজটি করব না, তখন শয়তান এই চিন্তা করায় যে ”কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি বোধহয় এই চিন্তা করে যে--- কাজটি করলে সামনে আমার সব কাজ হারাম হয়ে যাবে ।” তখন আমি চিন্তায় পড়ে যাই যে আমি কি আসলেই এমন চিন্তা করে কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি নাকি কাজটি করা আমার আপাতত প্রয়োজন নেই বলে কাজটি করা থেকে বিরত থাকছি।
(১) এই কাজটা না করলে আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে---- এমন চিন্তা করে যদি আমি কাজটি করি,,,,,,, তাহলে কি আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে? (যেহেতু আমি এখানে জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করেছি)
(২) ওয়াসওয়াসকে প্রাধান্য দিয়ে এমন চিন্তা করে কাজটি করার কারণে কি আমি কাফের হয়ে যাব? এটা কি হালালকে হারাম মনে করার মতো গুনাহ?
(৩) অতীতে এমন চিন্তা করে কোনো কাজ করলে আমাকে কি পুনরায় নতুনভাবে সঠিক চিন্তা করে সেই কাজটি এবং পরবর্তী যত কাজ করেছি সব আবার করতে হবে?
(৪) উদাহরণস্বরূপ কারোর হক নষ্ট করলে হয়তো আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে---- এমন চিন্তা করে যদি আমি হক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকি,,,,, তাহলে কি এই চিন্তার দরুণ আমার পরবর্তী সব কাজ হারাম হয়ে যাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি সঠিক চিন্তা করে পুনরায় সেই কাজগুলি করছি?
(৫) অতীতে অসংখ্যবার জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে অনেক কাজ করেছি যেগুলোর সব এখন মনে নেই। এখন কি সবগুলোর জন্য একসাথে মাফ চাইলে হবে? জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে যে কাজগুলো করেছি সেগুলো কি আবার পুনরায় করতে হবে?
(৬) এই ধরনের চিন্তার সাথে কি কাজ হালাল বা হারাম হওয়ার সম্পর্ক আছে? নাকি এটা শুধু চিন্তার সাথেই সম্পর্কিত?
(৭) এই ধরণের চিন্তা থেকে আমি কিভাবে বের হতে পারি? ওয়াসওয়াসায় পড়ে জায়েজ বিষয়কে নাজায়েজ মনে করে যতই কাজই করে ফেলিনা কেন সেই কাজগুলো পুনরায় না করে সব একসাথে তওবা করাই যথেষ্ট হবে কি?