আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
১.১ নম্বর প্রশ্নে এই নিচের স্টার দিয়ে আছে এই  কথা টা লেখা আছে হুজুর এই কথা টা আমি বলেছি কি মনে পড়ছে না বাকি সব কিছু ঠিক ভাবে লেখা আছে।  এই কথা টা যদি না বলি যদি ঐ মেয়ে তার কথা শুনে ওই কথা টা বলি তাহলে কি আমার ঈমান চলে যাবে ভয়। হুজুর বাগত্তা করছি সাহায্য করুন।

বাকি সমস্ত কথা সঠিক , অসুস্থ ছিলাম মনে করতে পারছিনা। তবে মেয়ে তাকে বলেছিলাম যা চাইবো আল্লাহর কাছে চাইবো,

হুজুর নিচে স্টার **এর মধ্যে কথা টা বাদ দিলে কি ঈমান চলে যাবে? একটু বিষয় টা দেখেন। আমি তো অসুস্থ ছিলাম । মনে পড়ছে না এই কথা মনে মনে বলেছি কি না তবে আব্বু জি আমাকে সুস্থ করে দাও বলার সময় আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছি।

*********************** আর ভেবেছিলাম আল্লাহর কাছে চাইছি ওর মাধ্যমে সুস্থ হয়ে যাবে হয়ত আল্লাহ ই সুস্থ করবে)********

এই কথা টা বলেছি কি না মনে পড়ছে না হুজুর ।
এই কথা টা না বলার জন্য বা না ভাবার জন্য কি ঈমান চলে যাবে হুজুর ? বাকি সমস্ত বর্ণনা ঠিক আছে।

1 Answer

0 votes
by (684,040 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরেরই ভুল। 
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন-

اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু না জেনে না বুঝে অনিচ্ছাকৃত ভাবে উক্ত বাক্য বলেছেন,তাই আপনার ঈমান চলে চায়নি,আপনার ঈমান নষ্ট হয়নি।

তবে পরামর্শ থাকবে, সতর্কতামূলক ঈমান নবায়ন করার।
শুধু কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...