আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
edited by
১. কোরআন শেখার বিভিন্ন পদ্ধতির নাম শুনেছি। এগুলোর মধ্যে পার্থক্য কি? যেমনঃ নূরানী পদ্ধতি, মাদানী পদ্ধতি। আমি কোন পদ্ধতি শিখছি সেটা কিভাবে বুঝবো?

২. আমরা ২ জন মিলে একটি প্রাইভেট প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছি যেখানে ছেলে মেয়ে একসাথে পড়ানো হবে। ছেলে মেয়ে উভয়েই প্রাপ্ত বয়স্ক। SSC & HSC স্টুডেন্ট। মেয়েদেরকে পর্দা সহকারে পড়তে বাধ্য করবো। উক্ত প্রাইভেট প্রোগ্রাম (কোচিং) এর নাম "আলহামদুলিল্লাহ প্রাইভেট প্রোগ্রাম" ব্যবহার করা কি উচিত হবে? যেহেতু, এখানে সহশিক্ষা রয়েছে?

৭ . আমি এই প্রশ্নের ৩, ৪, ৫, ৬ এই ৩টি প্রশ্ন মুছে ফেলতে চাই। এগুলো মুছে ফেললে কিংবা এসব প্রশ্ন করার মাধ্যমে কি উপররের কসমগুলো কি বাস্তবায়ন হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/20545/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
ইবনে আব্বাস(রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন, “জিব্রাইল[আ.] আমার কাছে এক হরফে কুরআন তিলাওয়াত করলেন, আর আমি তাকে ভিন্ন ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করতে বলতে লাগলাম যতক্ষণ না, তিনি সাতটি ভিন্ন হরফে  তিলাওয়াত করলেন।” [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৩২১৯, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।৫৪।৪৪২, সুন্নাহ.কম: ৫৯।৩০]

সাত হরফ বলতে কী বুঝায়?
সাত হরফ বলতে কুরআন তিলাওয়াতের সাতটি ভিন্ন উপায় বা ধরণকে যে বুঝায় তা উপরের হাদিসগুলো থেকেই বোধগম্য হবার কথা। এই সাত হরফে বিধানের(অনুমোদন/নিষেধাজ্ঞা) কোন পরিবর্তন হয় না।

ইবনে শিহাব(রহ.) বলেন: আমার কাছে এই কথা পৌঁছেছে যে, এই সাতটি প্রকার অপরিহার্যভাবে একই, অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোন ভিন্নতা নেই। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৭।১৯৩৮, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।১৭৮৫, সুন্নাহ.কম: ২১৭৮৫০]

তবে, এই সাতটি ধরণ কিসের ভিত্তিতে হয়েছে, সে নিয়ে উলামাগণ অনেক আলোচনা পর্যালোচনা করেছেন। অনেকের মতে এর ভিত্তি হচ্ছে, আরবের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার পার্থক্য। কেউ কেউ এর সাথে আরো অনেক মতও প্রকাশ করেছেন। ভিত্তি যাই হোক না কেন, সাত হরফে আসলে সাত ধরণের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়: বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/8918

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে সমস্যার কথা বলছেন, এটা মূলত সহজ ভাবে শিখানোর আলাদা আলাদা পদ্ধতি। 
কেউ মনে করেছেন যে এইভাবে সকলে সহজভাবে ও সঠিক ভাবে অল্প সময়ে আয়ত্ব করতে পারবে,তো তারা সেই ভাবে পদ্ধতি প্রনয়ন করেছেন।
ইহা ছাড়া আর কিছু নয়।

আপনি যে পদ্ধতিতেই কুরআন শিখে থাকেন,আরবিতে উচ্চারণ করে শিখলেই হবে।
কোন পদ্ধতিতে শিখেছেন,এটি জানার বা অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয়তা নেই।

(০২)
যেহেতু সহ শিক্ষা আছে,তাই উক্ত নাম না দেয়াই উচিত  হবে।

(০৩)
এখন আপনি আবার সেই অ্যাপ এ একাউন্ট করতে পারবেন। যদি কাফের কিংবা ঈমানের বিষয়টি উচ্চারণ করেও থাকেন, তাহলেও ব্যবহার করা যাবে।

আপনি মাথায় রাখবেন যে এভাবে কেউ কাফের হয়ে যায়না।
এভাবে কাহারো ঈমান চলে যায়না,এই বিশ্বাস রেখে আপনি আপনার যাবতীয় কাজ করবেন।

(০৪)
আপনি ডিলিট করেন বা না করেন,তাতে কোনো সমস্যা নেই।
কাফের হয়ে যাবেননা।

উচ্চারণ করে থাকলেও সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে উপরোক্ত বিধানের কোন পরিবর্তন হবেনা।
তবে এভাবে ফেইক আইডি খোলা IOM এর নিয়ম বহির্ভুত কাজ।

(০৬)
এই দুটি কসমের ক্ষেত্রেই সেই কাজ করা বা না করতেই হবেনা।

তওবা করে ফেললেই যথেষ্ট। 

(০৭)
এগুলো মুছে ফেললে কিংবা এসব প্রশ্ন করার মাধ্যমে  উপরের কসমগুলো বাস্তবায়ন হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...