আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম।

(১)জেনারেল লাইনে স্কুল,কলেজ/ভার্সিটিতে ভর্তির টাকার একটা নির্দিষ্ট অংশ সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়।আর এসব প্রোগ্রাম মানেই অবাধ ফ্রি মিক্সিং,গান-বাজনা।এক্ষেত্রে আমার ভর্তি ফির একটা নির্দিষ্ট অংশ যেহেতু আমার ফি থেকেও যাচ্ছে,সেক্ষেত্রে আমি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ না করেও গুণাহগার হচ্ছি কি না?এক্ষেত্রে করণীয় কি?

(২)ভার্সিটিতে একই ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ব্যাচের ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব পড়ে।আমাদের ব্যাচের ওপর পিকনিক আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে।এসব পিকনিক মানেই অবাধ ফ্রি মিক্সিং,গান-বাজনা,র্যাফেল ড্র ইত্যাদি ইত্যাদি।এসব বিবেচনায় কেউ পিকনিকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু তারা বলছে পিকনিকে না গেলেও আয়োজক ব্যাচ হিসেবে ব্যাচের প্রত্যেক মেম্বারকে অন্তত হাফ পেমেন্ট করতে হবে।আর এই হাফ পেমেন্ট সম্পন্ন নাকি নিজের দায়িত্ববোধ থেকে করতে হবে।

আমি যখন দেখতেই পাচ্ছি যে আমার টাকাটা হারাম খাতেও ব্যয় হবে(যেহেতু গান-বাজনাও হবে)তখন এটাতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই।তখন তারা লজিক দেখাচ্ছে যে যদি এভাবেই ভাবি তাহলে তো ভর্তির টাকাও দেয়া ঠিক হচ্ছে না।কারণ ভর্তি ফি এর একটা নির্দিষ্ট অংশ সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। হালাল-হারাম বিবেচনায় পিকনিকে টাকা না দেয়াটা তাদের কাছে ইললজিক্যাল মনে হচ্ছে।তারা টাকা দেয়াটাকে দায়িত্ববোধ হিসেবে দেখছে(যেহেতু ব্যাচের ওপর দায়িত্ব পিকনিকের)

এক্ষেত্রে আমার করণী কি?টাকা দিলে গুণাহগার হবো কি না?
by (0 points)
সুন্দর প্রশ্ন। এইসব গারবেজ প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা না করে মাদ্রাসাতে পড়া উচিত। কওমী মাদ্রাসাতে ভর্তি হন প্রিয় ভাইজান

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জান বাঁচানোর জন্য হারাম জিনিষকে ভক্ষণ করা জায়েয। চায় সেটা মৃত প্রাণী হোক বা অন্যকিছু।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَا لَكُمْ أَلَّا تَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا لَّيُضِلُّونَ بِأَهْوَائِهِم بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِالْمُعْتَدِينَ

কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন'আম-১১৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় অনেক হারামের সংমিশ্রণ থাকাসত্বেও উম্মাহ ও দেশ ও দশের বক্ষমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সহশিক্ষাতে শিক্ষা গ্রহণের রুখসত ফুকাহায়ে কেরাম দিয়েছেন। তাই আপনি যদি নিরুপায় হন, তাহলে পিকনিকের জন্য হাফ পেমেন্ট করতে পারবেন। ভর্তির টাকার একটা অংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের জন্য বরাদ্দ হওয়া সত্বেও আপনি টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...