ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জান বাঁচানোর জন্য হারাম জিনিষকে ভক্ষণ করা জায়েয। চায় সেটা মৃত প্রাণী হোক বা অন্যকিছু।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَا لَكُمْ أَلَّا تَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا لَّيُضِلُّونَ بِأَهْوَائِهِم بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِالْمُعْتَدِينَ
কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন'আম-১১৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় অনেক হারামের সংমিশ্রণ থাকাসত্বেও উম্মাহ ও দেশ ও দশের বক্ষমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সহশিক্ষাতে শিক্ষা গ্রহণের রুখসত ফুকাহায়ে কেরাম দিয়েছেন। তাই আপনি যদি নিরুপায় হন, তাহলে পিকনিকের জন্য হাফ পেমেন্ট করতে পারবেন। ভর্তির টাকার একটা অংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের জন্য বরাদ্দ হওয়া সত্বেও আপনি টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন।