আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি আপনাদেরকে আক্রমণ করছি না। তবে-
বর্তমানে ১০০% হালাল ইনকাম ৯৯% মানুষেরই নেই। কারণ, যে ব্যক্তি যে কাজই করুক না কেন সে সেটি ১০০% পুরো করতে পারে না। যেমনঃ একজন শিক্ষক স্কুলে বা ক্লাসে যেতে ১ মিনিটও কম বেশি করলে তার দায়িত্ব ১০০% পূরণ হচ্ছে না। একজন শ্রমিকও সামান্য বিশ্রাম বা গাফিলতি করলে ১০০% দ্বায়িত্ব পালন করা হচ্ছে না। তবে সবাই বেতন ঠিকই নিচ্ছে।
একজন ব্যাংকার সুদের কাজে সাহায্য করেন, একজন টিচার স্কুল কলেজে ড্রাম, সংগীত, নৃত্য, শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া ইত্যাদি নাজায়েজ কাজ করে ইনকাম করে থাকেন। একজন দোকানদার বিড়ি, সিগারেট, হালাল হারাম সব টাইপের পণ্য বিক্রি করেন, প্রায় সব ব্যবসায়ী বিক্রির সময় মিথ্যা কথা বলে। কে হারামে নেই? তাই আমার মতে বর্তমান সমাজে কারও ইনকামই ১০০% হালাল নয়। এমনকি হুজুরদেরও ইনকাম হালাল নয়। কেননা মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিনের জন্য যে টাকা সংগ্রহ করা হয় সেখানে হারাম ইনকামকারী ব্যক্তিও টাকা দিয়ে থাকে। আর মসজিদে কেউ কখনও বলে না যে হারাম ইনকাম হলে টাকা দেওয়া যাবে না। আজ পর্যন্ত শুনলাম না যে, কোনো মসজিদে হারাম টাকার কারণে টাকা নেওয়া হয় নি।
হুজুর আপনি বলেছেন যে, হারাম ইনকামকারী ব্যক্তির টাকা নেওয়া যাবে না।
(তবে কারও হালাল হারাম মিক্সড থাকলে নেওয়া যাবে। আমার কথা হলো সুদখোরও তো অনেক সময় হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা শুরু করে। মাসয়ালা অনুযায়ী কিন্তু সেসবও হারাম। তবে টাকা নেওয়ার সময় যদি কোনো হুজুর মনে করেন যে, ওই ব্যক্তি সুদখোর হলেও তার হালাল ব্যবসা আছে। তাই তার হাদিয়া নেওয়া যাবে।
তবে আমার প্রশ্ন হলোঃ হুজুররা কি কখনও জানতে চান যে- ওই ব্যক্তির হালাল ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট আসলেই হালাল টাকার কিনা? বা তার ব্যবসার টাকাগুলো সে কিভাবে যোগাড় করেছে? সে তো সুদের টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে। তাই না? তাই আমার মতে হুজুদের ইনকামও ১০০% হালাল না)
মূলধন হারাম হলে হালাল ব্যবসার ইনকামও হারাম হয়- কিন্তু হুজুররা হাদিয়া নেওয়ার সময় কি প্রশ্ন করেন যে, এই ব্যবসায়ীর হাদিয়ার টাকা যে ব্যবসার তা হালাল মূলধনের কিনা? মসজিদে ১০০০ লোক টাকা দিলে ৭০০ লোকই ব্যবসায়ী থাকে।
হুজুর কি আর বলি। বুঝে নেন। অনেক কথা আসছে। আমার মতে কারও ইনকামই বর্তমানে ১০০% হালাল নয়।
দেশের মসজিদ, রাস্তায় তোলা মাহফিল বা মসজিদ বা ইসলামিক কাজের জন্য তোলা চাঁদা - কোনোটাতেই হালাল হারাম মানা হচ্ছে না। বরং আমার মতে টাকা পেলেই হলো- এই নীতি অবলম্বন করে টাকা তোলা হয় সব জায়গায়।
যেহেতু সামান্য হারাম খেলেও ইবাদত কবুল হয় না। তাই আমার মতে কারও ইবাদতই কবুল হওয়ার কথা নয়।
আপনি কি বলেন হুজুর?
স