আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
এই ডিসবারসমেন্ট জিনিসটাই বুঝি নাই শাইখ। ক্যাশব্যাক,  ইনটেরেস্ট আর এটার মধ্যে কি পার্থক্য কিছুই বুঝতেছি না। আপনার একান্ত সাহায্য কামনা করছি! আর শাইখ এটা যদি হারাম হয় তাহলে এটার কাফফারা আছে কিনা? কারণ কত টাকা দিয়েছে সেটা তো হিসাব নাই।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনলাইন থেকে পাওয়া তথ্য মতে,
ডিসবার্সমেন্ট এর বাংলা মানে হচ্ছে বিতরণ ব্যায় অর্থাৎ যা সরকারি ফাউন্ডেশন থেকে প্রধান করা হয়ে থাকে। 

সরকারি একটি অর্থ যেটি মানুষকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ বিকাশ নগদ অথবা রকেট অথবা উপায় এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন স্কুলের উপবৃত্তি হিসেবে এই টাকাটা প্রধান করা হয়ে থাকে। ডিসবার্সমেন্ট পেমেন্ট মূলত বিধবা ভাতা, উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা এবং বিভিন্ন ধরনের সরকারি যে অনুদান গুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। আগে এসব টাকা গুলো সরাসরি প্রধান করা হতো।
,
কিন্তু এখন আর সরাসরি প্রধান না করে মানুষের কষ্ট কমাতে এটি সরাসরি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় যা মানুষের মোবাইল নাম্বারে সরাসরি ঢুকে যায়। আগে সরকার থেকে যখন সরাসরি অর্থ প্রদান করা হতো তখন সেখানে উল্লেখ থাকতো যে এটি কিসের জন্য দেয়া হচ্ছে কিন্তু এখন আর মোবাইলে এটা লেখা থাকে না শুধু লেখা থাকে এটি ডিসবার্সমেন্ট পেমেন্ট। আবার অনেক সময় নাম্বার উল্লেখ থাকে না শুধুমাত্র ডিসবার্সমেন্ট লেখাটি উল্লেখ থাকে। ডিসবার্সমেন্ট লেখা কোন নাম্বার থেকে মেসেজ আসলে আপনাদের বুঝে নিতে হবে সরকারি কোনো অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

অনেকে বলেছেন যে ডিসবার্সমেন্ট এটি বিকাশ নগদ কোম্পানির পক্ষ থেকে বোনাস বা অনুদান।
সর্বপরি সরকারের পক্ষ থেকে হোম বা বিকাশ,মোবাইল কোম্পানির পক্ষ থেকে হোক,এটিকে হাদিয়া বলা হবে।

এটি গ্রহন জায়েজ আছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...