ডিসবার্সমেন্ট এর বাংলা মানে হচ্ছে বিতরণ ব্যায় অর্থাৎ যা সরকারি ফাউন্ডেশন থেকে প্রধান করা হয়ে থাকে।
সরকারি একটি অর্থ যেটি মানুষকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ বিকাশ নগদ অথবা রকেট অথবা উপায় এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন স্কুলের উপবৃত্তি হিসেবে এই টাকাটা প্রধান করা হয়ে থাকে। ডিসবার্সমেন্ট পেমেন্ট মূলত বিধবা ভাতা, উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা এবং বিভিন্ন ধরনের সরকারি যে অনুদান গুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। আগে এসব টাকা গুলো সরাসরি প্রধান করা হতো।
,
কিন্তু এখন আর সরাসরি প্রধান না করে মানুষের কষ্ট কমাতে এটি সরাসরি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় যা মানুষের মোবাইল নাম্বারে সরাসরি ঢুকে যায়। আগে সরকার থেকে যখন সরাসরি অর্থ প্রদান করা হতো তখন সেখানে উল্লেখ থাকতো যে এটি কিসের জন্য দেয়া হচ্ছে কিন্তু এখন আর মোবাইলে এটা লেখা থাকে না শুধু লেখা থাকে এটি ডিসবার্সমেন্ট পেমেন্ট। আবার অনেক সময় নাম্বার উল্লেখ থাকে না শুধুমাত্র ডিসবার্সমেন্ট লেখাটি উল্লেখ থাকে। ডিসবার্সমেন্ট লেখা কোন নাম্বার থেকে মেসেজ আসলে আপনাদের বুঝে নিতে হবে সরকারি কোনো অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
অনেকে বলেছেন যে ডিসবার্সমেন্ট এটি বিকাশ নগদ কোম্পানির পক্ষ থেকে বোনাস বা অনুদান।
সর্বপরি সরকারের পক্ষ থেকে হোম বা বিকাশ,মোবাইল কোম্পানির পক্ষ থেকে হোক,এটিকে হাদিয়া বলা হবে।
এটি গ্রহন জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]