আমার এক বান্ধবী জানতে চেয়েছেন তার পক্ষ থেকে প্রশ্ন
আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করে সে হেদায়েত প্রাপ্ত হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়ে দ্বীনে ফিরে আসছি। সব কিছু বিচার করতে শিখেছি দ্বীনি ইলম দ্বারা। এমন শিক্ষা যা আমার আখিরাতে কাজে আসবে না তা দিয়ে আমার কি ফয়দা হবে? বরং আমার কোরআন শিক্ষা নিতে হবে দ্বীনি ইলম অর্জন করতে হবে। এই চিন্তা আমার মাথায় আসে।
আমি স্বপ্ন দেখি আমি একজন হুজুরের কাছে কোরআন শিক্ষা নিতে গেছি, তিনি আমাকে বলছেন তুমি মুখস্থ কর। আমি বললাম আমি তো পারি না। তিনি বলল, তুমি পারবে।
এর পর আমার মনে হল আমার রব আমাকে তার দিকে ডাকছে।আমি হাফেজ হব।অনেক কষ্ট করে অনেক জনের সাথে যোগাযোগ করে আমি ২টা হেফজখানায় গেলাম। এক জায়গা তারা আমার কথা শুনে আমাকে রাখরে রাজি হলো। আমার মা আমার ইচ্ছার সম্মান করল। কিন্তু আমার বাবা কিছু তে ই মেনে নিল না। আমার মা কে বাড়ি থেকে বের করে দেবে, নিজে মাথায় বাড়ি নেবে, আমি গেলে আমার বাবা নাকি মারা যাবে এমন সব কথা বলে। তারা স্বপ্ন দেখেছে আমি লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করে তাদের অভাব দূর করব। কিন্তু আমি চাকুরি করতে চাই না। তাই আমি পড়া ছেড়ে দিতে চেয়েছি।
আমার এই সিদ্ধান্ত কেউ মেনে নিতে পারে নি। আমার কি হলো এটা জানতে তারা আমাকে একজন হুজুরের কাছে নিয়ে গেল।সে তাবিজ দেয়। ঐ হুজুর আমাকে হাত মুজা খুলতে বলল। আমি খুললাম।ডান হাত। তারপর সে আমার হাত ভালো করে মালিশ করা শুরু করল এবং একটা কালো সুতা দিয়ে মাপতে শুরু করল।তারপর আমাকে বলল কেন পড়া ছাড়বা। পড়ো। হাফেজ হয়ে কি কররা? হেফজখানায় গেলে কি তুমি ভালো হয়ে যাবা? ওখানে যারা থাকে তারা সবাই কি ভালো? সব খবর কাছে ওদের ব্যপারে।
তারপর সে আমাকে একটা তাবিজ দিল। হাতে বা গলায় ঝুলাতে বলল। ৫০০টাকা দিতে বলল আমরা ২০০টাকা দিলাম।
বাড়িতে সবাই এমন করল যে আমি আমার সিদ্ধান্ত আর আগাতে পারলাম না। তবে আমার মন সব সময় ই চায় আমি হাফেজ হব। কুরআনের আয়াত শুনলে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। কুরআন তিল আয়াত শুনে আর এর অর্থ বুঝতে পেরে আমার মনে দ্বীন আসছে। আমার মনে হয় ঐ কুরআনের মধ্যে ই আমার প্রান ঐ কুরআনের জন্য আমার কন্ঠ, ব্রেন সব কিছু। কুরআনের অর্থ যখন পড়ি, আমার চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পরে।কেন এত টান অনুভব হয় আমার? সব ছেড়ে হেফাজতে যেতে চাইলাম। কত দোয়া করলাম আল্লাহর কাছে এমন করে কোন দিন কিছু চাই নি। তবু তার কি ইচ্ছা আমি জানি না। আমার শুধু একটা ই ইচ্ছা আমি কোরআন শিখব,বুঝব, সুন্দর করে তিলাওয়াত করব।
যার কোনোটা ই আমি পারি না।
১.বোনটার কি করা উচিত সে কি পড়াশোনা করবে নাকি বাবার নিষেধাজ্ঞার পরও হেফজখানায় ভর্তি হবে??
২.ঐ হুজুরের তাবিজ কি নিবে এবং ঐ হুজুরের কাছে কি তার আর যাওয়া উচিত হবে?
এবার আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন করছি-
৩.শায়খ আমার স্বামী কথাবলতেছিলো (ফোনে না সরাসরি এটা নিয়ে সন্দেহ) কিন্তু হঠাৎ শুনলাম তালাক দিলাম এটা বলছে তবে কবে বলচে তা নিয়ে সন্দেহ আর এখন এটা মন হচ্ছে যে আমি কি ভুল শুনলাম নাকি আবার যখন ও যেদিন ঐ কথাটা (তালাক দিলাম) শুনেছিলাম তখনই ভুল শুনলাম কিনা এটা মনে এসেছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।ঐদিন কোনো ঝগড়া চলছিলো কিনা বা নরমাল কথাবার্তা হয়েছিলো কিনা তা নিয়েও সন্দেহ।আবার এটাও সন্দেহ হচ্ছে যে এই ঘটনাটা কি আমার নামাজ ওজু অন্যান্য বিষয় নিয়ে সন্দেহজনিত সমস্যাটা শুরু হওয়ার আগে নাকি পরে?এই ঘটনার সাথে সাথে বা কয়েকদিন পরেও কোনো মুফতিকে জিজ্ঞেস করিনি এমনকি তাকেও ভায়ে জিজ্ঞেস করিনি যে সে বাস্তবে এটা বলেছে কিনা কারন ভয় হচ্ছিল সে রেগে যেতে পারে এসব শুনে।
এখন কি করবো আমি কি করনীয়?? তালাকের বিষয় মাথা থেকে বাদ দিতে পারিনা।
(
https://ifatwa.info/64790/ এখানে ১ নং প্রশ্নের ঘটনার সাথে উপরের ঘটনা এক না উপরের ঘটনাটা অন্য একদিন ঘটেছে)
২.তালাক নিয়ে আগে অনেক ঘটনা হয়েছে।শায়খরা বলেচে আপনাদের তালাক হয়নি কিন্তু এরপরও আমি এস্তেখারা করতাম এটা বুঝার জন্য যে আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা।সপ্নে দেখতাম কেউ তার বউকে তালাক দিচ্ছে।আমার সামী আমার বোনকে বিয়ে করতে যাচ্ছে।এসব দেখে মনে হতো আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে কি??
এসব সপ্ন আসলে কিসের ইংগিত ছিলো তখন??