আকীকার পশু নিজেদের জন্য কোনো অংশ না রেখে পুরোটা যদি কোনো মাদ্রাসার জিম্মাদারিতে দিয়ে দেওয়া হয়,আর তারা যদি এটি জবাই করে,তাহলে আকীকা আদায় হয়ে যাবে।
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا جَعَلْتَ بَيْنَ يَدَيْكَ مِثْلَ مُؤَخَّرَةِ الرَّحْلِ فَلاَ يَضُرُّكَ مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْكَ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب ما يستر المصلى، رقم الحديث-685)
অনুবাদ-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যদি নামাযীর সামনে হাওদার পিছনের লাঠির সমান কিছু রাখে, তাহলে তার সামনে দিয়ে যারা অতিক্রম হয়, তাদের কোন সমস্যা নেই। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৬৮৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪০, সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-৯৫৪, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৩৫, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৮২১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৩৭৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৮৪৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১১৩৯, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৩৯৭, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬৩০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৩৮৮, মুসদানুল বাজ্জার, হাদীস নং-৯৩৯}
★এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা নববী রহঃ বলেন যে, সুতরা কমপক্ষে হাওদার পিছনের লাঠির সমান হতে হবে। যা হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত বা এক হাতের এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ হয়ে থাকে। এ উচ্চতায় কোন জিনিস দাঁড় করিয়ে দিলে তা সুতরার কাজ করবে।
সুতরা যদি এক হাতের কম হয়,সেক্ষেত্রে সেটি যদি পুরো এক হাতের এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ হয়ে থাকে,বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে,অর্থাৎ হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত সমপরিমাণ হয়ে থাকে,তাহলে সেটি সুতরা বলে গন্য হবে।