বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
মহান আল্লাহ বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ ﻗَﺪْ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻟِﺒَﺎﺳًﺎ ﻳُﻮَﺍﺭِﻱ ﺳَﻮْﺀَﺍﺗِﻜُﻢْ ﻭَﺭِﻳﺸًﺎ ﻭَﻟِﺒَﺎﺱُ ﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯَ ﺫَﻟِﻚَ ﺧَﻴْﺮٌ ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺕِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺬَّﻛَّﺮُﻭﻥَ
তরজমাঃ-হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।[সূরা আল আ’রাফ ২৬]
পোষাকের ক্ষেত্রে ইসলামের কতিপয় মূলনীতির প্রতি লক্ষ্য রেখে একজন মুসলিম যে কোন পোষাক পরতে পারবে। ইসলামে তার অনুমোদন রয়েছে।মূলনীতি গুলো যেমন-
পর্দা অর্থ হল,এমন ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করা যাতেকরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঙ্গ সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশিত না হয়।
সব কিছু এক কালার হোক বা না হোক এতে কোনো সমস্যা নেই। বোরকা ঢিলেঢালা হলে তাতে কারুকার্য থাকতেও কোরো বাধা নেই।
(১)
শীতকালে ব্যাচ হুডি(ছেলেদের জ্যাকেটের মতো) বানানো হয়,আর ব্যাচের ছেলে-মেয়ে সবাই এটা পড়ে থাকে।
এমন পোষাক যদি সতরকে পরিপূর্ণ রূপে ঢেকে রাখে,তাহলে বলা যায় যে, নারী পুরুষের একই রকম পোষাক হওয়ার কারণে মুসলিম যুবতীর জন্য পড়া কখনো সমুচিত হবে না।বরং তাওয়ার দাবী হল,এমন পোষাক ন পরিধান।
এমন পোষাক পড়ে জনসম্মুখে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।
(২)
জন সম্মুখে যাওয়া জায়েয হবে না।তবে একাকি পড়া যাবে।
لعن ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝ-
নবীজী সাঃ পুরুষ সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলাদেরকে এবং মহিলা সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষদেরকে লা'নত প্রদান করেছেন।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৫)