আসসালামু আ'লাইকুম
গতরাতের ঘটনা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে খুব বিস্রিভাবে ঝগড়া হয়
কিন্তু এটা সত্য কেউ কাউকে * এর হুমকি বা আবেদন কিছুই করেনি
স্বামী স্ত্রী দুইজনেরই মাথা গরম....রাগ উঠলে কে কাকে কি বলছে খবর থাকে না( আসতাগফিরুল্লাহ)
১.৩০/২ ঘন্টা ঝগড়া চলে কয়েকটি কথা বাদে আর কিছুই মনে নেই
ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী বাথরুম গেলে স্বামীকে ফোনে কথা বলতে শুনে "ভাইয়া ঘুমিয়ে গেছেন? আপনার বোনের এগুলো আর সহ্য হচ্ছে না,আপনি এসে একটা ডিসিশন নেন"। (সম্পূর্ণ কথা স্ত্রী শুনে নি)
এরপরে স্ত্রী বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করে কাকে ফোন দিসো ? স্বামী বলে তোমার ভাইকে
স্ত্রী - কেন?
স্বামী - তুমি এখানে থাকার মত না,তুমি ট্রিটমেন্ট করে আসো
তোমার জন্য আমার জীবন শেষ, কোন উন্নতি নাই,তোমাকে বিয়ে করে শাস্তি পাচ্ছি,নিজের পছন্দে বিয়ে করার শাস্তি,তুমি আমাকে এত মানসিক অত্যাচার করতেছো বলার বাইরে,তুমি একটা পাগল ইত্যাদি ইত্যাদি
দুইজনের আরো কিছু কথা কাটাকাটির পর স্ত্রী শুয়ে পরে
স্ত্রী আবার শুনে স্বামী স্ত্রীর ভাইকে ফোন করে বলতেছে- কিরে ভাই আপনি আসতেছেন না?
আপনি আসেন একটা ডিসিশন নেন,ওকে কি করবেন, এভাবে হবে না, আপনি আসেন আমি দরজা খুলে দিব এগুলোও সম্পুর্ন শুনেনি স্ত্রী
তোমাকে নিয়ে বৈঠক হবে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে তোমার কি হবে আরো হাবিজাবি
স্ত্রী জিজ্ঞেস করে তুমি ওইটারই হুমকি দিতে পারবে,তোমরা মা ছেলে ওইটাই চাচ্ছো( স্ত্রী * এর কথা বুঝিয়েছে)
স্বামী বলে তোমাকে কিছুর হুমকি দিচ্ছি না,তুমি পাগল,তুমি মেন্টাল,এগুলো হবে আমি জানতাম,আমার কাছে সব প্রমাণ আছে শুয়োর, শুয়োরের বাচ্চা আরও অনেক কিছু ডাকে,সাংসারিক আরো কথা বলে যেগুলো স্ত্রীকে দোষ দেই
এরপরে আরো অনেক কথা কাটাকাটি হয়
আবার স্ত্রী বলে তাকে মেরে ফেলার জন্য বা স্ত্রী নিজে মরে গিয়ে স্বামীকে জেলে পাঠাবে
স্বামী তখন বলে সে মরে গেলে বা জেলে গেলে স্ত্রী তো *.(একটি কেনায়া শব্দ) নিজের মত চলতে পারবে, কেউ কিছু বলবে না, এইজন্য বেশি উড়তেছে
পরে স্বামী শান্ত হয়ে বলে আল্লাহর ওয়াস্তে আর ওই টপিকে কথা বলিও না
টপিক হলো -এক রিলেটিভ শশুড়বাড়ি থাকে স্ত্রী সেটা মানতে পারে না, কারণ ঘর ছোট, সেখানে এক্সটা মানুষ রাখার কোন মানে হয় না, আর স্ত্রী ইদানীংকালে ওয়াসওয়াসার কারণে ওই রিলেটভকে নিয়ে সন্দেহ হয়,মনে হয় স্বামীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাবে, যদিও স্বামী এমন নয়,যাকে নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে সেও এমন নয় কিন্তু ওয়াসওয়াসা রোগীর চিন্তাভাবনা অন্যরকমের তাই এগুলো নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হচ্ছে। আগেও হয়েছিল ঝগড়া রিলেটিভকে নিয়ে
স্ত্রী স্বামীকে বলে সমস্যা সমাধান না হলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতেই থাকবে
স্বামী বলে রিলেটিভ থাকবে,স্ত্রী বলে সে বুঝতেছে কেন স্বামী আর শাশুড়ী রিলেটিভকে রাখতে চাচ্ছে,স্ত্রীর বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছে না তাই সুযোগ আছে রিলেটিভকে কাছে রাখার ।স্ত্রীর ভয় স্ত্রী বাচ্চা নাহলে স্বামীকে জোর করে ফ্যামিলি রিলেটিভের সাথে বিয়ে দিলে মেইন কথা এইটা
স্ত্রী ভাইকে ফোন দেয়ার ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে ফোন দেয়নি এমনি স্ত্রীকে শুনানোর জন্য অভিনয় করছে
আসলে দীর্ঘ ঝগড়ার মধ্যে যেই জিনিসগুলো মোটামুটি মনে আছে সেগুলোই লেখা হয়েছে তাও হুবহু নয়
কারণ খুবই কমন ব্যাপার এত কথার মধ্যে সব মনে থাকার কথা না
হুজুর একটু ভালো করে পড়ে বলবেন উপরে ঝগড়ার কারণে তাদের বৈবাহিক জীবনে কোন অসুবিধা হবে নাকি?