আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির না দিলে নামাজ ফাসিদ হবে?
বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির না দিলে নামাজ ফাসিদ হবে?
বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির না দিলে নামাজ ফাসিদ হবে?

বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির না দিলে নামাজ ফাসিদ হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির দেওয়া ওয়াজিব না সুন্নত? সে সম্পর্কে ফিকহের কিতাবে বিপরিতধর্মী বর্ণনা পাওয়া যায়,
ফাতাওয়ায় হিন্দিয়াতে ওয়াজিব বলা হয়েছে।
الفتاوى الهندية (1 / 128):
"(ومنها القنوت) فإذا تركه يجب عليه السهو، وتركه يتحقق برفع رأسه من الركوع ولو ترك التكبيرة التي بعد القراءة قبل القنوت سجد للسهو؛ ولأنها بمنزلة تكبيرات العيد، كذا في التبيين"

ফাতাওয়ায় শামীতে সুন্নত হওয়ার বক্তব্যকে তারজিহ দেয়া হয়েছে।
ویکبر أي وجوبًا وفیہ قولان کما مر في ا لواجبات، وقدمنا ہناک عن البحر ینبغي ترجیح عدم وجوبہ․ (شامی: ۲/ ۴۴۲)۔ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে, বিতর নামাজে কুনুতের আগে তাকবির সুন্নত। ফাতাওয়া নং হল,
 Fatwa ID: 720-764/L=7/1437


সুতরাং আমরা সুন্নত হওয়ার বক্তব্যকে ধরে নিতে পারি। সুন্নত ধরে নিলে তা ছুটে গেলেও নামায ফাসিদ হবে না। তবে সতর্কতামূলক ওয়াজিব হওয়ার বক্তব্যকে ধরে নেয়াই উচিৎ। তখন ঐ তাকবীর ছুটে গেলে সাহু সিজদা আসবে, সাহু সিজদা না দিলে নামাযকে দোহড়াতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 223 views
0 votes
1 answer 177 views
...