আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
১. অনেক নাপাক কাপড় এক বালতিতে ধোয়ার সময়,যখন একটি একটি করে কাপড়  বালতি থেকে তুলি তখন সেই কাপড় থেকে অনেক ঝরা পানি বালতিলে পরে, এভাবে একটা একটা করে কাপড় তুলে চিপি, পরে আবার পানি ভরে আবার চিপি, তৃতীয় বার ও করি। এখন পয়লা/দ্বিতীয়বারের ওই বালতিতে কাপড় তোলার সময় হাত ভিজে,সেই ভেজা হাতে যা ধরবো তাই কি নাপাক হবে?
এবং তৃতীয়  বার পানি ভরে কাপড় ফেলে সেই হাত দিয়ে যদি কাপড় তুলে তুলে চিপি তবে কি সেই পানিপ নাপাক।জয়ে যাবে?

২.নাপাক হলে কিভাবে পাক করবো, এতোবার হাত ধোয়া যাবে?

৩. আজকে বউ একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলো রাস্তা টি ওয়াজ মাহফিল এর জন্য বন্ধ। তাই তাকে ঘুরে অনেক জায়গা হেটে আসতে হয়। তাই সে সেই ওয়াজ মাহফিলের অরগানাইজারদের অনেক গালাগালি করে, কারণ এজন্য তার অনেক জায়গা হাটতে হয়েছিলো। এবং আমকে বলে এভাবে রাস্তা আটজিয়ে মাহফিল করে সোয়াব হবে? আমি জানি না বলে জবাব দেই।

এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?

৪.. গণিতের একটি সূত্র সহজে মনে রাখার জন্য একটা লাইন  দিয়ে মনে রাখা হয় লাইন টি হলো, "কবরে ভূত অনেক" এই কথা দিয়ে এই পড়া শিখানোর জন্য কি গুনাহ হবে? বা ইমানে সমস্যা হবে?

৫. কেও যদি বলে কালো মানুষেরে দাড়ি রাখলে, কেমন জানি লাগে...
এতে।কি গুনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/16102/ ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজন নেই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর তা পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নেয়া প্রয়োজন। 
,
এখানে বালতি নাপাক হওয়ার বিষয়টা প্রয়োজনের খাতিরে রহিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ এভাবে যদি আমরা বালতিকে নাপাক বলি, তাহলে একটি কাপড় পবিত্র করা জন্য অনেক পানির প্রয়োজনিয়তা দেখা দিবে। সুতরাং যত সামান্য পানি লেগে থাকার কারণে উক্ত বালতি নাপাক হবে না। 

উসূলঃ প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে সিদ্ধ করে দেয়

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
এক্ষেত্রে এভাবে তিনবার কাপড় ধোয়ার দ্বারা কাপড়,হাত,বালতি সবই পাক হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক হাত ধুয়ে নিবেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রথম/দ্বিতীয়বারের ওই বালতিতে কাপড় তোলার সময় হাত ভিজে,সেই ভেজা হাতে পুনরায় ঐ কাপড় ধরলে সমস্যা নেই।
কিন্তু এ হাত না ধুয়ে অন্য কোনো কিছু ধরলে যেমন নিজের পরনের কাপর,তাহলে সেটি নাপাক হয়ে যাবে। 

এবং তৃতীয়  বার পানি ভরে কাপড় ফেলে সেই হাত দিয়ে যদি কাপড় তুলে তুলে নিংড়ান, তবে সেই পানি নাপাক।হয়ে যাবে।
এই পানি ফেলে দিতে হবে।
কেননা এই পানি তো নাপাক।

(০২)
প্রত্যকে বার হাত ধোয়া লাগবেনা।
এভাবে তিনবার কাপড় ধোয়ার দ্বারা কাপড়,হাত,বালতি সবই পাক হয়ে যাবে।

(০৩)
এতে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এই কথা দিয়ে এই পড়া শিখানোর জন্য গুনাহ হবেনা। বা ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
শুধু এতটুকু বলার দ্বারা গুনাহ হবেনা। ঈমানে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 228 views
0 votes
1 answer 164 views
...