আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছোট থেকে ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম ছোট থেকেই দেখতাম আমার বড় বোনের খুব বেশি টেককেয়ার নেয়া হয় যার তুলনায় আমার খুব কমই ছিল তারপর ছোট বোনটা হওয়ায় আমার বাসায় আপু আর ছোট বোনের গুরুত্ব বেড়ে যায় জেনারেলের পড়া ছাড়ার আগে থেকেই আমার উপর বিয়ের চাপ আসে আমিও রাজি হয়ে যাই বলি তোমাদের যা ইচ্ছা আমার সমস্যা নাই বেশ তোরজোর করে বিয়ের চেষ্টা করে ৭/৮ মাসের মধ্যে আমার বিয়েও হয় কিন্তু সমস্যা হল ছোট থেকে যে হেও টা আমি পেয়েছি এখনো পাচ্ছি সেটা কীভাবে গুছিয়ে ব্যাখ্যা করে বলবো সেটা বুঝতেছি না আসলে আমার মায়ের আমার সব কিছুতেই সমস্যা আগে কিছু হলে জিজ্ঞেস করলে একটু পরে আমায় ভেঙানি দিয়ে অনেক বকা দিত এমনকি কখনো কখনো গালিগালাজ ও করত তাই এখন আর জিজ্ঞেস করি না আমার শ্বশুর বাড়িতে এখনো আমায় নেয় নি এমন একটা সকাল আমার যায় না যে সকালে ওঠার আগেই আমার কথা শুনতে হয় না সব কিছুর প্রেশারে এত ডিপ্রেশনে চলে যাই আমার কিছু ভালো লাগে না অসহ্য লাগে আমি ঠিক করে নামাজ ও পড়তে পারি না আগের মত কোন আমল করতে পারি না সব ভুলে যাই খুব চেষ্টা করি নামাজ আমল ঠিক রাখতে কিন্তু আবার ভুলে যাই কিছু ভালো লাগে না এমনকি নামাজ ও না নামাজ আদায় করতে না পারলে কিছু ভালো লাগে না কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর নামাজ আদায় করতে পারি না আমার সব অসহ্য লাগে অসহায় লাগে মায়ের কাছে এটাও শুনতে হয় অলক্ষী আমার সব শেষ করছে জম্ম দিয়াও মরছি এই ধরনের কথা এই কথা গুলো আমার কোন খুত পেলেই বলে অনেক চেষ্টা ও করি চুপ থাকার কিন্তু তাও পারি না আমি কী করবো আমাকে সাহায্য করুন

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথমেই বলবো,ক্ষনস্থায়ী এই দুনিয়ার দুঃখ কষ্টের তুলনায় আপনি আখেরাতের চিরস্থায়ী জীবনকে প্রাধান্য দিন।

এই দুনিয়ায় বাবা মা সহ যেই হোক,কেহউ আপনার সত্যিকার অর্থে আপন নয়,একমাত্র আল্লাহই আপনার আপন।

তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে হোক,আল্লাহর বিধান মেনেই চলতে হবে,কোনো ভাবেই নামাজ তরক করা যাবেনা।

আপনি আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার কথা বলুন। 

নিম্নোক্ত আমল গুলি করুনঃ-
আনাস রাযি. বলেন, রাসুল ﷺ (উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য) সব সময় এই দোয়া করতেন, 

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلىٰ دِيْنِكَ 

হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনার দীনের উপর দৃঢ় করে দিন।

আনাস রাযি. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার উপর এবং আপনার আনিত শিক্ষার উপর ঈমান এনেছি। এখন আপনার মনে কি আমাদের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ আছে? ( যে বেশি বেশি এই দোয়া করেন!) রাসুল ﷺ উত্তর দিলেন হ্যাঁ! সব অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মধ্যে পড়ে আছে। আল্লাহ যেভাবে চান, এগুলোকে পরিবর্তন করেন। (তিরমিযি ২১৪০ তাকদির অধ্যায়)

★সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন।

রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দোয়া করতেন,

اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَن زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا

হে আল্লাহ আমাকে তাকওয়ার তওফীক দান করুন এবং নাফসকে পবিত্র করুন, আপনিই তো উত্তম পবিত্রকারী। আর আপনিই আমার নাফসের মুরুব্বী ও পৃষ্ঠপোষক। (মুসলিম ২৭২২)
সুতরাং আপনিও দোয়াটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

প্রয়োজনে সময় সুযোগ পেলে নেককার মহিলাদের সোহবত গ্রহণ করুন। মহিলাদের তা'লিমে যেতে পারেন। তাদের সাথে বেশি উঠাবসা করুন।

এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা আপনার জন্য সহজ হবে। 

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)

অধিকহারে ইস্তেগফার করুন। প্রয়োজনে এর জন্য প্রত্যেক নামাজের পর একটা নিয়ম করে নিন। যেমন, প্রত্যেক নামাজের পর ৫০/১০০/২০০ বার أسْتَغْفِرُ اللهَ   অথবা أسْتَغْفِرُ اللهَ وَأتُوبُ إلَيهِ অথবা  اللَّهُمَّ اغْفِرْ لي পড়ার নিয়ম করে নিতে পারেন। 

আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا

আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)

অনুরূপভাবে আমরা আপনাকে বুঝে বুঝে নবীদের কাহিনী, সাহাবায়ে কেরামের জীবনী পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। 

আরো করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 504 views
...