আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
(১)  ঝগড়ার সময় মানে কথা কাটা কাটির সময় রাগ করে স্বামী বলছে বনিবনা হবে/ হচ্ছে না। স্ত্রীও রাগ করে বলে বনিবনা না হলে ডিসিশন নেন কি করবেন। স্বামী বলছে ডিসিশন নিয়ে নিছি। স্বামী কোন তালাকের নিয়তে বলে নাই। স্ত্রীর তালাকের অধিকার নেই। স্ত্রী তালাকের নিয়তে বলে নাই। মুখে আসছে বলে ফেলছে। স্ত্রী  তালাকের নিয়তে ডিসিশন নেন কি করবেন বললে স্বামীর উত্তরে যে ডিসিশন নিয়ে নিছি বললো কিন্তু স্বামীর নিয়ত ছিল না এতে তালাক জাতীয় কিছু হয়? স্বামী বা স্ত্রী তালাক শব্দ মুখে উচ্চারণ করে নাই।

(২) আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল্লাহু মান্নান,  বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাই্যয়ু ইয়া কাই্যয়ুম এটা কি ইসমে আজম?  ইসমে আজম না হলে বাংলা উচ্চারণ সহ সঠিক ইজমে আজম বলবেন দয়া করে? আমি আরবি পড়তে পারি না।
(৩) আমি সাত বার সালাত শেষ উপরোক্ত ইসমে আজম পড়ে দুআ করতেসি এটা বিদআত হবে? যেহেতু আমি এভাবে নিজ থেকে আমল করতেসি কোন হাদিসে পাই।

(৪) ইসমে আজম পড়ে দোয়ার সঠিক নিয়ম?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, এটি ইসমে আজম।
তবে ইসমে আজমের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। 

ইসমে আজম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

আরবী হলোঃ-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ 

বাংলা উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদা, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল হান্নানুল মান্নান,  বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাই্যয়ু ইয়া কাই্যয়ুম আসআলুকা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ وَرَجُلٌ يُصَلِّي فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মসজিদে নাবাবীতে বসে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি সালাত আদায় করছিল এবং সালাতের পর বলছিল, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সব প্রশংসা। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমিই সবচেয়ে বড় দয়ালু, বড়দাতা। তুমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও দান করার মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে আল্লাহকে ইস্মে আ‘যম-এর সাথে ডাকে তিনি তাতে সাড়া দেন এবং যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তখন তিনি তা দান করেন।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৫, তিরমিযী ৩৪৭৫, নাসায়ী ১৩০০, আহমাদ ১২২০৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৩৬১, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৮, ইবনু হিব্বান ৮৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪১,মিশকাত ২২৯০।)

হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত : একবার রাসুল (সা.) মসজিদে প্রবেশ করেছেন। এমতাবস্থায় এক লোক নামাজ শেষে এ দোয়া করছিলেন, 
اللھم انی اسئلک بان لک الحمد لا الہ الا انت الحنان المنان بدیع السموت و الارض یا ذا الجلا و الاکرام یا حی یا قیوم اسألک، 
তখন রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, ''তুমি জানো, তুমি কি দিয়ে দোয়া করেছ? তুমি দোয়া করেছ 'ইসমে আজম' দিয়ে, যা দ্বারা দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন এবং তা দ্বারা কিছু চাইলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।'' (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৪৪)

(০৩)
এটি বিদআত হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে সংখ্যাকে আবশ্যক মনে করা যাবেনা।
একবার বলার কথাই হাদীস শরীফে এসেছে।

(০৪)
দোয়ার শুরুতে ইসমে আজম পড়ে যেকোনো বৈধ কিছু আল্লাহর কাছে চাইবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...