আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
১।স্বামী বলে তোমাকে বিয়ে করে ভেবেছিলাম মানসিক শান্তি পাবো কিন্তু সেটা পাচ্ছিনা আমাকে বিয়ে করাই আমার বাপ মা ভুল করছে মনে হয় যে ওদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।তখন স্ত্রী বলে মানসিক শান্তি পাও এইরকম কাউকে খুঁজে আনো।

স্বামী প্রতিউত্তরে সম্ভবত কিছু বলে নাই

এই কথা দ্বারা কোন অসুবিধা হবে?

২। স্ত্রী স্বামীকে  মাঝে মধ্যে বলত বিয়ে আরেকটা করো আমার অসুবিধা নাই এই কথাটা কখনো মজা করে আবার কখনো রাগে ক্ষোভে বলত স্ত্রী

 স্বামী তখন বলত হ্যাঁ  ঠিক আছে করব  দুই সতীন একসাথে থাকবা। আরো কিছু কথা (কথাগুলো হুবহু এইরকম বলা হয়েছে নাকি জানেনা কারণ আগের কাহিনী  কিন্তু বিষয়বস্তু এটাই শুধু শব্দের এদিক সেদিক হতে পারে)

৩।সংখ্যার ব্যাপারে আপনাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা বলেছেন ওয়াসওয়াসার কারণে হচ্ছে
কিন্তু এত কোইন্সিডেন্ট কিভাবে হয়?(উদাহরণ দেয়া হলো)

যেমন-১। মার্কেট থেকে জিনিস কেনা হয়েছে ৭টা কেনার সময় মনে করেছিল ৮টা কিনবে (ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য) এবং ধরেও নিয়েছিল ৮টা কিনেছিল কিন্তু বাসায় এসে দেখে কিনেছে ৭টা
এখন ৭ এর সাথে কত যোগ করলে বা বিয়োগ করলে কি হয় জানেন তো (এবং ওয়াসওয়াসার দরূন এখানে প্রশ্ন করা)

অনেক চেষ্টা করেও এই সংখ্যার বিষয় টা মাথা থেকে যাচ্ছে না

২। স্টুডেন্টদের রোল হয়েছে সব * এর ঘরে
কারো **, কারো *৭, কারো *৯
এবং * অমুক ক্লাসেই পড়ে
এগুলো কি কোইন্সিডেন্ট?

৪। ২০১৯ সালে হঠাৎ করে মরে যাওয়ার ভয় শুরু হয় যার কারণে অটোমেটিক কান্না করতে থাকত। শুধু মনে হত অমুক দিনে মারা যাবে বা অমুক জায়গায় গেলে মারা যাবে তাই কারো সাথে দেখা করত না কোথাও যেত না কারণ মনে হত এটা হয়ত শেষ দেখা হবে এভাবে দিন পার করত,, এরপরে অমুক তারিখ পার হয়ে গেলে আবার নতুন আরেকটা তারিখ বা ঘটনা নিয়ে অস্থির হত।এভাবে প্রায় ২/৩ মাস ঘরবন্ধি ছিল

অবস্থা এত খারাপ হয়েগেছিল যার কারণে মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল
কিছু মেডিসিন দেয় ডাক্তার সেগুলো মোটামুটি ৬মাস খাওয়ার পরে একটু স্বাভাবিক হয় কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি।

কিছুদিন ভালো থাকলেও অন্য কোন ঘটনা নিয়ে অস্থির হত কান্না করত
মারা যাওয়ার ভয়টা শুরু হয় বিয়ের কথা থেকেই আবার সেই বিয়ে নিয়েই অসুস্থতাবোধ করা
কান্না,অস্থিরতা লেগেই থাকে

এগুলো সব কি কোইন্সিডেন্ট?
হুজুর ৪ নং ঘটনা পড়ে আপনার কি মনে হয়?

ওভারঅল স্বামী বিরক্ত স্ত্রীর উপর খুব ন্যাচারাল ব্যাপার কিন্তু স্ত্রী অনেক চেষ্টা করেও ব্যাপারগুলো মাথা থেকে সরাতে পারছে না
হুজুর একটু দয়া করে সময় নিয়ে পড়ে উত্তর দিয়েন

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


বিনা ওযরে স্বামী থেকে তালাক চাওয়া মারাত্মক অপরাধ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِي غَيْرِ مَا بَأْسٍ، فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ

সাওবান (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো মহিলা অহেতুক তার স্বামীর নিকট তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম হয়ে যায়।
(তিরমিজি, আবু দাউদ ২২২৬)

أَنْبَأَنَا بِذَلِكَ بُنْدَارٌ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ أَنْبَأَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلاَقًا مِنْ غَيْرِ بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ "

বুনদার (রহঃ) ...... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনরূপ কষ্টের সম্মুখীন না হয়ে যে মহিলা তার স্বামীর নিকট তালাক চায়। তার জন্য জান্নাতের গন্ধও হারাম। - ইবনু মাজাহ ২০৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্বামী বলে তোমাকে বিয়ে করে ভেবেছিলাম মানসিক শান্তি পাবো কিন্তু সেটা পাচ্ছিনা আমাকে বিয়ে করাই আমার বাপ মা ভুল করছে মনে হয় যে ওদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।তখন স্ত্রী বলে মানসিক শান্তি পাও এইরকম কাউকে খুঁজে আনো।

স্বামী প্রতিউত্তরে সম্ভবত কিছু বলে নাই

★এই কথা দ্বারা কোন অসুবিধা হবেনা।

(০২)
এই কথা দ্বারাও কোন অসুবিধা হবেনা।

(০৩)
আপনার সংখ্যা সংখ্যা যত ঝামেলা হচ্ছে,এর জন্য সংশ্লিষ্ট কোনো ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ রইলো।

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার প্রতি কিছু আমলের পরামর্শ থাকবে।

★সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবেন।
আবু দাউদ শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম আবু উমামাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কালেমা শিক্ষা দেব, তুমি যখন তা বলবে, আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণ মুক্ত করে দেবেন। তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বল,

اللهم إني أعوذ بك من الجُبن والبخل، وأعوذ بك من غلبة الدين وقهر الرجال

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের কথার ওপর আমল করেছি, আল্লাহ তাআলা আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে ঋণ মুক্ত করে দিয়েছেন।

★তদ্রূপ আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করলে মনের সাহস ও  আত্মবিশ্বাস বৃৃদ্ধি পায়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

أَلا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ ( সূরা রাদ : ২৮)

তিনি আরো বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

‘মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের ওপর তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল : ২)

★ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) মাশায়েখগণ বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...