ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
বিনা ওযরে স্বামী থেকে তালাক চাওয়া মারাত্মক অপরাধ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِي غَيْرِ مَا بَأْسٍ، فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ
সাওবান (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো মহিলা অহেতুক তার স্বামীর নিকট তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম হয়ে যায়।
(তিরমিজি, আবু দাউদ ২২২৬)
أَنْبَأَنَا بِذَلِكَ بُنْدَارٌ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ أَنْبَأَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلاَقًا مِنْ غَيْرِ بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ "
বুনদার (রহঃ) ...... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনরূপ কষ্টের সম্মুখীন না হয়ে যে মহিলা তার স্বামীর নিকট তালাক চায়। তার জন্য জান্নাতের গন্ধও হারাম। - ইবনু মাজাহ ২০৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্বামী বলে তোমাকে বিয়ে করে ভেবেছিলাম মানসিক শান্তি পাবো কিন্তু সেটা পাচ্ছিনা আমাকে বিয়ে করাই আমার বাপ মা ভুল করছে মনে হয় যে ওদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।তখন স্ত্রী বলে মানসিক শান্তি পাও এইরকম কাউকে খুঁজে আনো।
স্বামী প্রতিউত্তরে সম্ভবত কিছু বলে নাই
★এই কথা দ্বারা কোন অসুবিধা হবেনা।
(০২)
এই কথা দ্বারাও কোন অসুবিধা হবেনা।
(০৩)
আপনার সংখ্যা সংখ্যা যত ঝামেলা হচ্ছে,এর জন্য সংশ্লিষ্ট কোনো ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ রইলো।
(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার প্রতি কিছু আমলের পরামর্শ থাকবে।
★সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবেন।
আবু দাউদ শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম আবু উমামাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কালেমা শিক্ষা দেব, তুমি যখন তা বলবে, আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণ মুক্ত করে দেবেন। তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বল,
اللهم إني أعوذ بك من الجُبن والبخل، وأعوذ بك من غلبة الدين وقهر الرجال
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের কথার ওপর আমল করেছি, আল্লাহ তাআলা আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে ঋণ মুক্ত করে দিয়েছেন।
★তদ্রূপ আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করলে মনের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃৃদ্ধি পায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
أَلا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ ( সূরা রাদ : ২৮)
তিনি আরো বলেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
‘মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের ওপর তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল : ২)
★ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) মাশায়েখগণ বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে।